বাদল-মোছলেমের আসনে ‘শেষবেলার’ এমপি কে?
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দরোজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ‘শেষবেলা’ পার করছে একাদশ সংসদ। এ অবস্থায় একই মেয়াদে দ্বিতীয় দফায় শূন্য হলো মহানগরী ও বোয়ালখালী উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনি আসন। যদিও জাতীয় সংসদের স্পিকার এখনও আসনটি শূন্য ঘোষণা করেননি।
স্পিকার শূন্য ঘোষণার পর শেষবেলার উপ-নির্বাচনে যিনি সংসদ সদস্য হবেন, তিনি সময় পাবেন এক বছরেরও কম। কারণ, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।
কে হচ্ছেন শেষবেলার এমপি— সেটা নিয়ে কৌতুহল আছে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে। তাদের মধ্যে এমন ধারণা আছে, যে দলেরই হোক, মেয়াদের শেষ কয়েকমাসের জন্য যিনি এমপি হবেন তিনিই অনায়াসে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনেরও বৈতরণী পার হবেন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ একাংশ) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ নারী।
২০০৮ সাল থেকে পরপর তিন দফায় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা গেলে চলতি মেয়াদের প্রথম দফায় আসনটি শূন্য হয়। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তিনি গত ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা আছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
এ প্রসঙ্গে আলাপে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্পিকার এখনও আসনটি শূন্য ঘোষণা করেননি। সংসদ থেকে আসন শূন্য ঘোষণার পর গেজেট হবে। সেটি নির্বাচন কমিশনে আসার পর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। এরপর নির্বাচন হবে, নির্বাচিত প্রার্থীর গেজেট হবে এবং তিনি শপথ নেবেন। যেদিন শপথ নেবেনে সেদিন থেকেই উনার মেয়াদ শুরু হবে। তবে যেহেতু ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে হবে, নতুন সংসদ সদস্য আট-নয় মাসের বেশি সময় পাবেন না।’
মেয়াদ যতদিনই হোক, প্রয়াত বাদল-মোছলেমের আসনে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহের কমতি নেই সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। তবে মোছলেমের মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘চক্ষুলজ্জায়’ অনেক নেতা সরাসরি সেটা বলছেন না। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, স্বল্প মেয়াদের হলেও এই উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়ন আদায় করতে পারলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে অংশ নেওযার পথ পরিষ্কার হবে।
বিদ্যমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নিজ দল কিংবা জোটের শরিক দল থেকে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবে, তার ‘হেসেখেলে’ জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন।
প্রার্থী হিসেবে এলাকাবাসী যাদের ‘নাম শুনছেন’
এলাকায় আলোচনা থাকুক আর না থাকুক, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু।
এছাড়া আশির দশকে আওয়ামী লীগের ‘বৈরি সময়ের’ ছাত্রলীগ নেতা ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়া এস এম আবু তৈয়ব এবং প্রয়াত মঈনউদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা বাদলের নামও এসেছে আলোচনায়।
আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। তবে জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়ালেখা, ছাত্র সংগঠন থেকে মূল দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়াঙ্গনে পদচারণা- সবই চট্টগ্রাম শহরেই। ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম কলেজ থেকে নগর শাখা হয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের হাল তার হাতে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায়ও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন কি না? জানতে চাইলে আ জ ম নাছির উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চাইব কিংবা চাইব না- কিছুই বলব না। দেখা যাক। এখনও শোকটাও কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমরা। তবে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, যেহেতু আমার রাজনীতিসহ সকল কর্মকাণ্ড এই মহানগরকে ঘিরে, প্রত্যাশা আছে মহানগরের যেকোনো একটি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার। যে আসনটা শূন্য হয়েছে, সেটার বড়ো একটি অংশ মহানগরের মধ্যেই, চান্দগাঁও। আর বোয়ালখালীর যে অংশটা সেখানে কখনও নৌকা হারেনি, সবসময় জিতেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার সংসদীয় আসন কোতোয়ালি। কিন্তু আমি এই আসনেই শুধু আমার কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখিনি। পুরো মহানগর জুড়ে আমি নিয়মিত রাজনৈতিক এবং ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করি। পাঁচবছর মেয়র ছিলাম। সে হিসেবে মহানগরের চারটি আসনেই আমার একটা অবস্থান আছে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, চট্টগ্রাম-৮ আসনে মনোনয়ন পেলে আমার পক্ষে ওভারকাম করা সহজ হবে।’
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যসহ কেন্দ্রে প্রভাব রাখেন এমন কয়েকজন আ জ ম নাছির উদ্দীনের মনোনয়নের ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সবারই ব্যক্তিগত শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে। আমি যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রেও নেতৃত্ব দিয়েছি, আমারও আছে। শুভাকাঙ্ক্ষীরা তো চাইতেই পারে। তবে মূল কথা হচ্ছে- দল কি চায়, নেত্রী কি চান। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেন সেটাই মাথা পেতে নেব।’
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের বাড়ি নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায়, যেটি চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের মধ্যেই। ১০ বছর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে উড়াল সেতু, আউটার রিং রোড, ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তিনি আলোচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে তিন দফা সংসদ নির্বাচনে এবং সাংসদ বাদলের মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
এবারের সম্ভাব্য উপ-নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুচ ছালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি দল ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর আস্থাশীল। আর আমার ওপরও নেত্রীর আস্থা আছে বলেই ২০০৮ সালে এবং ২০১৪ সালে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহাজোটের স্বার্থে বাদল সাহেবকে ছেড়ে দিতে হয়। আমি মনোনয়ন চাইব কি চাইব না- সেটা পরের কথা। দল নিশ্চয় আমার বিষয় বিবেচনা করবে বলে আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘কারণ আমি চান্দগাঁওয়ের সন্তান। শহরে আমার কোনো বাড়ি নেই। আমি চান্দগাঁওয়ে থাকি, এখানে আমার ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু। সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে আমি কি করেছি, সেটা সবাই দেখেছে। শহরের মানুষ আমাকে ভালোবাসে, এলাকার লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান আমি আল্লাহর রহমতে করেছি। আমি মনোনয়ন পেলে অবশ্যই দলকে জয় উপহার দিতে পারব।’
বোয়ালখালীর বনেদি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান এস এম আবু তৈয়ব। ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ১৯৮১-৮২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে এক ভাইকে হারিয়েছেন। আরেক ভাই এস এম আবুল কালাম পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখেন।
পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত হয়ে পরবর্তী সময়ে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোক্তায় পরিণত হন এস এম আবু তৈয়ব। ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম ক্লাবেরও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি।
জানতে চাইলে এস এম আবু তৈয়ব সারাবাংলাকে বলেন, ‘উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কর্ণফুলী নদীর এপাড়-ওপাড় থেকে প্রস্তাব এসেছে। আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি চান, অবশ্যই নির্বাচন করব। শহরের সঙ্গে লাগোয়া একটা উপজেলা, এটা উপশহর হতে পারতো। একটা কালুরঘাট সেতুর কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু করতে পারলে, কালুরঘাট সেতু কোনো বিষয়? পুরো বাংলাদেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে সেই পরিমাণে তো বোয়ালখালী উপজেলায় হয়নি, চান্দগাঁওয়ে হয়নি। আমি কারও বিরোধিতা করছি না, তবে উদ্যোগের অভাব ছিল। আমি সেই জায়গায় কাজ করতে চাই।’
মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ সত্তরের দশকে ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন। প্রয়াত মোছলেম উদ্দিনের জন্য সহানুভূতি আছে এলাকার মানুষের। সেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রার্থী হতে চান শিরিন।
জানতে চাইলে শিরিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার ছিল। কিন্তু আমার স্বামী একজন হোলটাইমার পলিটিশিয়ান ছিলেন। পরে আমি সংসারের জন্য সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসি। তবে স্বামীর সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সহযোগিতা করেছি। রাজনৈতিক অনেক বিষয়ে তিনি আমার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি যখন জেলে যেতেন, আমি সেসময় অনেক সংকটের মোকাবেলা করেছি। উনি হঠাৎ চলে যাবেন, সেটা আমরা পরিবারের সদস্যরা দূরে থাক, এলাকার মানুষও ভাবতে পারেননি। সেই মানুষগুলোর পাশে আমি থাকতে চাই। মোছলেম সাহেবের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই।’
আবদুল কাদের সুজন ১৯৮৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ ও বোয়ালখালী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। চটগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
আবদুল কাদের সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি যখন ছাত্রলীগ করি, তখন ছিল বৈরি সময়। এরশাদ আর খালেদা জিয়ার সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে গ্রামগঞ্জে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছি। ছাত্রজীবন শেষে সাব রেজিস্ট্রার পদে চাকরি হয়েছিল। ইউসিবিএল ব্যাংকে চাকরি হয়েছিল। সার্বক্ষণিক রাজনীতি করব বলে চাকরিতে যোগ দিইনি। ৩৮ বছর ধরে দলের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। কোনোদিন দলের নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। আশা করি, দল এবার আমাকে মূল্যায়ন করবে।’
চান্দগাঁওয়ের বাসিন্দা আরশেদুল আলম বাচ্চু চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক। ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী আরশেদুল নগর ছাত্রলীগের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির পাশাপাশি ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
উপনির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন জানিয়ে আরশেদুল আলম বাচ্চু সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভিশন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। বিভিন্ন পর্যায়ে তরুণ নেতাকর্মীদের কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে দল এবং সরকার। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন স্মার্ট তরুণ নেতৃত্ব। সেই বিবেচনায় আমি দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশী।’
‘রাজনীতির কথা যদি বলতে হয়, বিএনপি-জামায়াতের আমলে কঠিন সময়ে আমরা মহিউদ্দিন ভাইয়ের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছি। উনার নির্দেশনা মেনে নগরে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছি। আমি বঙ্গবন্ধু আদর্শের কর্মী, জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আমি মহিউদ্দিন ভাইয়ের পরীক্ষিত কর্মী। তরুণদের প্রতিনিধি হয়ে আমি সংসদে গিয়ে মানুষের কথা বলতে চাই।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম