ঢাকা: দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলার সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। তবে সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হননি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মাইনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলাটিতে এ নিয়ে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
এর আগে, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।