মুছে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শ্রুতিকটু নাম
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫১
ঢাকা: দেশের যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শুনতে নেতিবাচক সেসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তন করে রুচিশীল ও শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ রয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে গেজেট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘এসব নাম শিশুর রুচি, মনন ও বোধ পরিশালিতভাবে বেড়ে ওঠার অন্তরায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়ে থাকলে সেগুলোও পরিবর্তন করা হবে। এসব বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি একটি নীতিমালাও প্রকাশ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ২০০’শোর বেশি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাইলটিং করে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলির জন্য গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সংশোধিত অনলাইন বদলি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মাত্র সাত দিনের মধ্যে অনলাইনে বদলির জন্য আবেদন করা ২৫ হাজার আবেদনের বিষয়ে নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।’
পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষায় শুধু প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্যবই পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ে দেওয়া হবে। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এরই মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম চার বছরের ওপর এবং ৫ বছরের ওপর বিবেচনা করা হবে। এজন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা পালটিং হিসেবে ৩ হাজার ২১৪টি স্কুলে এ বছরই শুরু করা হবে।’
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক (যেমন- বাংলা, ইংরেজি, গনিত ও বিজ্ঞান) প্রশিক্ষণ চলছে জানিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে শেষ হবে। এরই মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষক সরাসরি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।’
সারাবাংলা/জেআর/এনএস