ঢাকা: ২০২২-২৩ সেশনে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আবেদনের সময়সীমা ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকলেও ফি জমা দেওয়া যাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আর প্রবেশপত্র বিতরণ হবে ৬ ও ৭ মার্চ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শেষ হবে সকাল ১১টায়। আর ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলবে ১৩ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেডিকেলে ভর্তির জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত নীতিমালা-২০২৩ অনুযায়ী, অনলাইনে নির্ধারিত সময়ে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২২ সালে এইচএসসি ও ২০২০ সালে এসএসসি অথবা ২০২১ সালে এইচএসসি ও ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নসহ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য হবে। দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে। উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৮.০০ হলেই হবে। তবে এককভাবে কোনও পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০-এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার জন্যে এইচএসসি পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
এমবিবিএস ভর্তির জন্য অনলাইন ফরম পূরণের নিয়মাবলি ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mefwd.gov.bd, www.dgme.gov.bd, www.dghs.gov.bd ও http://dgme.teletalk.com.bd থেকে জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ মার্চ। গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সকল অংশীজনকে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে আসন ৪ হাজার ৩৫০টি। আর ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৬ হাজার ১৬৮ জন।
গত বছর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী । ৪০ নম্বর পেয়ে পাস করে ৭৯ হাজারেরও বেশি। যেখানে মোট আসন ১০ হাজার ৫১৮টি।