Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসেছে কয়লা, ফের উৎপাদনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৯

ঢাকা: টানা এক মাস বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে উৎপাদন শুরুর কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এর আগে, চালুর ২৭ দিনের মধ্যে কয়লা সংকটের কারণে গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বন্ধ রাখা হয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটের কারণে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা সংগ্রহ বিঘ্নিত হওয়ায় হঠাৎ করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বন্ধ করতে হয়। সমস্যার সমাধান হয়েছে। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে পনামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে পৌঁছে তা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে চলে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানান, এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসবে। ফলে আর কয়লার সংকট থাকছে না। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে রামপালের দুইটি ইউনিটই পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।

সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর একটি রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারি-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপরে কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশ সমঝোতা স্মারকে সই করে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি বিপিডিবি ও এনটিপিসি যৌথ একটি কোম্পানি গঠন করা হয়। ইকুইটি বিনিয়োগ সমান ভাগে ধরে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট রামপাল বাস্তবায়নে গঠন করা হয় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালে।

বিজ্ঞাপন

বিআইএফপিসিএলের তথ্য অনুযায়ী, কাজ শুরুর তারিখ থেকে ৪১ মাসের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে উৎপাদন শুরুর চিন্তা করা হয়। কিন্তু সঞ্চালন লাইন নির্মাণ না হওয়ার পাশাপাশি কয়লার সংস্থান না হওয়ায় তা আবার পেছানো হয়। বার বার তারিখ পেছানোর পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎপাদনে যায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। যদিও পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছিল আরও আগে। কিন্তু কয়লা সংকটের কারণে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়।

সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীর ঘেঁষে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদী ও অধিকার কর্মীরা। তবে ক্ষতি রোধের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর