Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিদেশিরা বাংলাদেশ নিয়ে ইন্টারেস্ট ফিল করছে, এটা ভালো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৯

হাছান মাহমুদ, ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ইন্টারেস্ট বেড়েছে উল্লেখ করে একে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একথা বলেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘বিদেশিদের আনাগোনা’ বেড়ে যাবার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিদের আনাগোনা বেশি হওয়া ভালো। এতে প্রমাণ হয় যে, তারা বাংলাদেশের ওপর ইন্টারেস্ট ফিল করছে। বাংলাদেশ যেহেতু ইমার্জিং ইকোনমি, বিদেশিরা একটু বেশি আসবে। আমাদের বাণিজ্য বহুমূখীকরণ হবে, আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবো। তাদের আগ্রহ আছে বিধায় আসছে, এটি দেশের জন্য ভালো।’

‘২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, তখন আকার অনুযায়ী বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর ষাটতম অর্থনীতির দেশ। সেখান থেকে ২৫টি দেশকে পেছনে ফেলে গত ১৪ বছরে আমরা ৩৫তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছি। বাংলাদেশ ইকোনমিকেলি ইমার্জিং টাইগার, সেজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। সেই আগ্রহ থেকেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা এবং বিভিন্ন অর্থলগ্নিকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আনাগোনা বাংলাদেশে অতীতের তুলনায় বেড়েছে। যে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা, বাজার বড় এবং ক্রম সম্প্রসারমান, সেই দেশ নিয়ে অন্যান্য দেশের আগ্রহ বাড়বে এটা খুব স্বাভাবিক। একই কারণে বাংলাদেশে বিদেশিদের আসা-যাওয়া বেড়েছে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় নানা বিষয়ের মধ্যে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা বলেছি যে, আমরাও চাই দেশে আগামী নির্বাচনে বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহন করুক। আগামী নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক অবাধ করার ক্ষেত্রে সরকারি দলের যেমন দায়িত্ব আছে, বিএনপিসহ বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। আমরা চাই একটি অংশগ্রহনমূলক অবাধ সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক।’

বিজ্ঞাপন

কিন্তু পাকিস্তানের আদলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে বিএনপির কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। ওনারা পাকিস্তানকে কেন এত অনুকরণ করেন সেটি প্রশ্ন? বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাজ্য ও কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও ঠিক সেভাবে হবে। চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহনযোগ্য অবাধ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। কেউ যদি নির্বাচন বর্জন করে কিংবা প্রতিহতের অপচেষ্টা চালায় তাহলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক না করা কিংবা অগ্রহণযোগ্য করার দায়-দায়িত্ব তাদের।’

এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আস্থা নেই- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে মূর্খের মতো বারবার সরকারের অধীনে নির্বাচন কেন বলেন জানি না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকার তখন শুধু সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করে। নির্বাচনকালীন সময়ে যে সরকার দায়িত্বে থাকে পুলিশের একজন কনস্টেবল বদলি করারও ক্ষমতা থাকে না তাদের। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেমন একটি পক্ষ বিএনপিও একটা পক্ষ। আমরা সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।’

‘২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে নির্বাচনে গেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা করেছে। সুতরাং ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপি এবং তার মিত্রদের, যারা নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা করেছিল। যারা ৫০০ নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, বেশ কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ অনেক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল তারাই দায়ী থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/এনএস

টপ নিউজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর