Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হোটেল থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৫

কক্সবাজার: জেলা শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে পর্যটক মা ও শিশু সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামী জেমিন বিশ্বাস পালাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় শহরের কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল সী আলিফ থেকে মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

নিহতরা হলেন— সুমা দে (৩৬) চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচিন্দ্র দের মেয়ে এবং তার আট মাস বয়সী এক মেয়ে শিশু।

হোটেল সী আলিফের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন শিশুসহ সুমা দে ও জেমিন বিশ্বাস হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষে উঠেন। তারা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হোটেল অবস্থানের কথা বলে কক্ষটি ভাড়া নেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টায় হোটেল কক্ষটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে জেমিন বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে চেক আউট করতে হোটেলের এক কর্মচারি কক্ষটিতে যান। এ সময় বাহির দরজা খোলা পেয়ে ভিতরে মা ও শিশু সন্তানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করা হয়।’

হোটেল ম্যানেজার আরও জানান, তারা তিন শিশু সন্তানসহ হোটেল কক্ষে অবস্থান করলেও ঘটনার পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএসপি মিজানুর বলেন, কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সী আলিফের একটি কক্ষে দুই পর্যটকের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে হোটেলটির চতুর্থ তলার ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মেঝে ও খাটের উপর পড়ে থাকা অবস্থায় এক গৃহবধূ এবং আনুমানিক আট মাস বয়সী এক মেয়ে শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘হোটেল কক্ষটির দরজা বাহির থেকে খোলা অবস্থায় ছিল। নিহতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ করে দুইজনকে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

এএসপি বলেন, ‘কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে স্বামী অপর দুই সন্তান নিয়ে পলাতক থাকায় দাম্পত্য কলহের জেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে ঘটনার পর কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ছাড়াও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সারাবাংলা/এনএস

কক্সবাজার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর