স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় হাজির স্বামী
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৪৩
দিনাজপুর: দিনাজপুর শহরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় স্বামী থানায় এসে নিজ স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে শহরের নতুন ঘাসিপাড়ার সনি বেগমের ভাড়া ফ্লাটে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই নিহত গৃহবধূর বড় ভাই ইসাহাক আলী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত গৃহবধূ ২৭ বছর বয়সী সুমাইয়া আক্তার হাসি। তিনি জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের কন্যা।
আর গ্রেফতারকৃত স্বামী ৩৩ বছর বয়সী মনোয়ার হোসেন। তিনি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকা মৃত শেখ আব্দুল মজিদের ছেলে। মনোয়ার দিনাজপুর শহরের জেল রোডে জেলা কারাগারের মার্কেটের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইলের ব্যবসা করছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, মনোয়ার হোসেন নতুন ঘাসিপাড়ার সনি বেগমের ফ্ল্যাটে দীর্ঘ ১ বছর ধরে বসবাস করছেন। ইতিপূর্বে তার প্রথম স্ত্রী ছিল। তিনি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সুমাইয়া আক্তার হাসিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের ঝগড়াও হয়। শুক্রবার ভোর ৪টায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের ওয়ারড্রবের ড্রয়ারে লুকিয়ে রাখে। পরে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় স্বামী মনোয়ার হোসেন কোতয়ালী থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার হাসির বড় ভাই ইসাহাক আলী বলেন, “মনোয়ার হোসেন একজন প্রতারক। আমার বোনকে সে প্রতারণা করে বিয়ে করেছে। সে খুব খারাপ মানুষ। আমার বোনকে হত্যার করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।’
সারাবাংলা/এমও