ফিরলেন ‘গুম হওয়া’ রবীন্দ্রনাথ—হাতে নেই পেরেক ঠোকা গীতাঞ্জলি
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৮
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করাসহ বইমেলায় কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার ঘটনায় গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ভাষ্কর্য নির্মাণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তবে রবীন্দ্রনাথের মুখে টেপ আর হাতে থাকা গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থে পেরেক ঠোকা সেই ভাস্কর্য দুইদিনের মাথায় সরিয়ে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরিয়ে ফেলা ভাস্কর্যের জায়গায় একটি ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। যেখানে লেখা ছিলো—‘গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ’।
এদিকে, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেখা যায়—‘গুম হয়ে যাওয়া’ রবীন্দ্রনাথ আবারও ফিরেছেন। তবে এবার খানিকটা ভিন্নভাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার পর ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় সেটি আবার খুঁজে পান নির্মাণ-সংশ্লিষ্টরা। সেই ধ্বংসাবশেষ জোড়া লাগিয়ে আবারও আগের জায়গায় স্থাপন করেছেন তারা।
ধ্বংসাবশেষ দিয়ে দাঁড় করানো রবীন্দ্রনাথের ডানে-বামে দুটি ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। একটি ব্যানারে—‘তোমার পূজোর ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’ এবং অন্যটিতে লেখা আছে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সবধরনের সেন্সরশিপ বন্ধ কর।’
ভাস্কর্যটির নির্মাণ-সংশ্লিষ্ট একজন ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শিমুল কুম্ভকার জানান, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা ভাস্কর্যটির অংশগুলো জোড়া লাগিয়ে কোনোভাবে এটিকে আবারও দাঁড় করিয়েছেন তারা।
শিমুল কুম্ভকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ এ কে এম গোলাম রব্বানীর প্রতি বার্তা দিয়ে ‘তোমার পূজোর ছলে তোমায় ভুলেই থাকি’ শীর্ষক ব্যানারটি টাঙানো হয়েছে।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ভাস্কর্যটি স্থাপনের পর প্রক্টর স্যার রবীন্দ্রনাথকে অবমাননার কথা কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এর মধ্য দিয়ে নাকি রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হয়েছে। খোদ তিনিই তো রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যকে ধ্বংস করে এদিকে ওদিকে ফেলে দিয়েছেন। সে জন্যই কবির লেখা একটি লাইন দিয়েই প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।’
তবে এই বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে