স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৯
ঢাবি: অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। করোনাকালে বেদিতে একজন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার নিয়ম থাকলেও এবার কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়-সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অমর একুশ উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘করোনার সময় প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে শহিদ মিনারের বেদিতে একজন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারতেন। এবার কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি।’ তবে সুষ্ঠুভাবে দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য আরও জানান, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং যথাসময়েই তা সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীরা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষাসৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা।
এদিকে, একুশে ফেব্রুয়ারিতে রুটম্যাপ কেমন হবে— এই প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, সর্বস্তরের জনসাধারণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহিদ মিনারে যাবেন। শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে শুধু প্রস্থান করা যাবে, শহিদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।
এছাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপও দেওয়া হয়েছে। রুট- ম্যাপ যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সবা প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও একুশে উদযাপনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, যুগ্ম-সমন্বয়কারী অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অনেকে।
সারাবাংলা/আরআইআর/এনএস
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়