ব্যস্ত নগরে আলোকমালা ও খাদিজার স্বপ্ন এখানে ভিন্ন
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৭
ঢাকা: ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে’— কবির এ ভাবনার জাগতিক বোধটা আজকাল বড্ড বেশি পীড়া দেয়। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুটির দিকে যখন দৃষ্টি যায়; তখন মনে হয় এদের নামের পাশে ‘বঞ্চিত’ শব্দটি দূর করে দেওয়ার দায়িত্ব তো সমাজ ও রাষ্ট্রের। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভাগ্যবদলে সমাজ কি কোনো দায়িত্ব পালন করছে? সরকারের রয়েছে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রতিটি শিশুই অফুরন্ত সৃষ্টিশীলতার আধার। শিশুদের ভাবনার পরিধি, কল্পনা করার সীমা ও স্বপ্নের মানচিত্র অফুরন্ত। কিন্তু আলোক মালা ও খদিজার স্বপ্ন এখানে ভিন্ন। তারা চায় দু বেলা পেট ভরে খেতে।
আলোকমালা ও খাদিজা— ওরা দুবোন গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় এসেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে। রাত কাটে তাদের ফুটপাতে। কখনও মিন্টো রোডে, কখনও কোনো ওভার ব্রিজের নিচে।
কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে জেগে বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে আসে রমনায়। প্রাতভ্রমণে আসা ব্যক্তিদের কাছে ফুলের মালা বিক্রি করে। বেলা ১১টায় রমনা পার্কের গেইট বন্ধ করে দিলে ঢাকা ক্লাবের পূর্ব পাশে অবস্থান নেয় তারা। আবার বিকেলে রমনা পার্কেও গেইট খুললে শুরু হয় ফুল বা ফুলের মালা বিক্রি।
রোববার (১৯ ফেব্রয়ারি) দুপুর ১২টায় রমনা পার্কের ভেতরে ভাত খাচ্ছিল দুই বোন আলোকমালা ও খাদিজা। এ সময় রমনা পার্কের কাকগুলো দুই বোনের কাছে খাবারও চাচ্ছে। দেখা যায় আলোকমালা ও খাদিজা ভাত খাচ্ছে এবং কাককেও খেতে দিচ্ছে।
আলোকমালা জানায়, তার বাবা-মা আছে। ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত সড়কের ফেরিওয়ালা। মা তাহমিনা তৈরি করে ফুলের মালা। মালা তৈরি শেষে সেগুলো বিক্রি করে রমনা পার্কে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে