স্ত্রীকে খুনের পর নিজের গলাকেটে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৮
ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা সোলমাইদ এলাকার এক বাসায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী। হত্যার পর স্বামী নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। নিহতের নাম বন্যা আক্তার (১৮)। আর আহত স্বামীর নাম মো. সুজন (২২)।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আহত সুজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে নিহত বন্যার মামা মো. কবির হোসেন জানান, বন্যা ও সুজন গত ৪-৫ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা ভাটারা সোলমাইদ অটোস্ট্যান্ডসংলগ্ন একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকা শুরু করেন। বন্যা একটি তৈরি পোশাক কারখানায় আর সুজন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বাবা মায়ের সঙ্গেও বন্যার যোগাযোগ নেই। তাদের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার। বন্যার বাবার নাম আব্দুর গফুর।
তিনি আরও জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে বন্যা তার মামা কবির হোসেনকে ফোন দিয়ে বলেন, দ্রুত তাদের বাসায় যেতে। তবে কি হয়েছে সে বিষয়ে তখন কিছুই জানায়নি। পরবর্তীতে কবির হোসেন তাদের বাসায় গিয়ে রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় একপর্যায়ে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় স্ট্রিলের দরজা ভেঙে দেখেন ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বন্যা। আর তার শরীরের ওপরে পড়ে আছে সুজন। তাদের দু’জনেরই গলায কাটা ছিল।
বন্যা মারা গেলেও সুজনকে নড়াচড়া করতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সুজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। তাদের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সুজন।
ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাস্থলে ওই নারী মারা গেছেন। জানা গেছে তাদের বাসার দরজা সকাল থেকে বন্ধ ছিল। রাতে স্বজনরা ওই বাসায় গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় ওই নারীর গলায় ও তার স্বামী সুজনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। নারীর স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলোহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। এবং নিজের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমও