‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্নত-আধুনিক দেশ গড়ে তুলবো’
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৬
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সবসময়ই আমরা একুশ জনকে পদক দেই, যেন একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের স্মরণে থাকে। আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে উন্নত আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। যারা পদক পেয়েছেন তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই ও যারা বেঁচে নেই (মরণোত্তর সম্মাননাপ্রাপ্ত) তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় ২ প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তির হাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু ভাষা আন্দোলনে অংশই নেননি, ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য জেলে যান। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আরমানিটোলায় এক সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই যুদ্ধ হয় কিন্তু কোথাও এক দেশ অন্য দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে না। যেভাবে পাকিস্তানিরা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল। তারই ফলস্বরূপ ভাষা আন্দোলন আর ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।’
এবছর মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় একুশে পদক পেয়েছেন- মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ড. মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর)। সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মো. সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাড. মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক-২০২৩’ এর জন্য ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং দু’টি সংস্থার নাম ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ২ প্রতিষ্ঠান-১৯ ব্যক্তির হাতে একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সারাবাংলা/আরএফ/এমও