‘যুগের পরিবর্তনে প্রভাতফেরির ঐতিহ্যগত চরিত্রে পরিবর্তন এসেছে’
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৭
ঢাবি: প্রভাতফেরির ঐতিহ্যগত চরিত্রে পরিবর্তনের কারণ হিসেবে যুগের পরিবর্তনকে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে, তাতে মানুষ খুব সহজে ও সংক্ষিপ্তভাবে সবকিছু করতে চায়’
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাতটার দিকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহিদদের কবরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো শহিদ দিবস পালিত হয়। সেদিন দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রভাতফেরি দিয়ে। ঢাকার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা খুব ভোরে ছাত্রাবাসগুলো থেকে বের হয়ে খালি পায়ে ফুল হাতে, কেউ ফুল ছাড়াই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসতেন। তবে দিনদিন প্রভাত ফেরির কলেবর কমছে। নেই আগের মতো আনুষ্ঠানিকতা।
প্রভাতফেরির যে ঐতিহ্য, বর্তমানে এতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রভাতফেরির ক্ষেত্রে একধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত যুগের পরিবর্তনের কারণে এটি হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে, তাতে মানুষ খুব সহজে ও সংক্ষিপ্তভাবে সবকিছু করতে চায়। যেসব বিষয়ে মানুষ অনেক সময় ও শ্রম দেয়, সেসব বিষয় দীর্ঘস্থায়ী হয়। এতে একধরনের মূল্যবোধও আছে।’
এর আগে, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয় প্রভাতফেরি। অল্প কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রভাতফেরি নীলক্ষেত হয়ে আজিমপুর কবরস্থানে গেলে সেখানে ভাষা শহিদদের কবরে শ্রদ্ধা জানান সংশ্লিষ্টরা। পরে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তারা।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএএসএম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারসহ অনেকে।
সারাবাংলা/আরআইআর/এমও