Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে প্রভাতফেরি, অপশক্তিকে পরাস্ত করার শপথ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য প্রাণ দেওয়া বীরদের রক্তস্রোতের স্মরণ করতে শহিদ মিনারে সমবেত হয়েছিলেন চট্টগ্রামের আপামর মানুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত না করার দৃপ্ত শপথ এদিন আবারও নিয়েছে সবাই। বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালির সংস্কৃতিসহ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে সাম্প্রদায়িক-ধর্মান্ধ অপশক্তির কাছে পরাস্ত হতে না দেওয়ার শপথে দৃঢ় হয়েছে মানুষ শহিদ বেদি ছুঁয়ে।

বিজ্ঞাপন

‘সাংস্কৃতিক বলয়’ প্রকল্পের কাজের জন্য নগরীর কেসি দে রোডে ‘কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার’ ভেঙে ফেলায় এবারও পাশের মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করে সিটি করপোরেশন। নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী কর্মসূচির ধারাভাষ্যে ছিলেন।

সোমবার রাতে একুশের প্রথম প্রহরে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এবং নগর আওয়ামী লীগসহ বেশকিছু সংগঠনের পক্ষ থেকে রাতেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই শুরু হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মানুষের আনাগোণা। শুরু হয় প্রভাতফেরি। বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী, শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রভাতফেরিতে যোগ দেন। কারও কণ্ঠে একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, আবার কারও কণ্ঠে স্লোগান। কারও হাতে ব্যানার, কারও হাতে বর্ণমালা, কেউ বা নিয়েছিলেন লাল-সবুজের পতাকা, ভাষার জন্য আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে পতাকা পেয়েছে বাঙালি।

সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নেতাকর্মীদের নিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দেন। সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে নগর মহিলা লীগ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি মানে বাঙালির অধিকারের চেতনাকে শাণিত করার দিন। বাংলা-বাঙালির ওপর বারবার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে। বায়ান্নতে সালাম-বরকতরা বুকের রক্ত ঢেলে বাংলা ভাষা নিয়ে চক্রান্ত প্রতিহত করেছে। এর পথ ধরে বঙ্গবন্ধু একাত্তরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সেই দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বাংলা-বাঙালির ওপর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও তৎপর। এবারের একুশ হোক দেশবিরোধী অপশক্তিকে পরাস্ত করার শপথের দিন।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, সহকারি সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, সদস্য রেখা চৌধুরী, সিতারা শামীম, ফরিদুল আলম, অজয় সেন, অমিতাভ সেন উপস্থিত ছিলেন।

অশোক সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৯৫২ সালে জাতির মধ্যে যে চেতনা ছিল, সেই চেতনার ফল হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাঙালির যে স্বপ্ন-আকাঙ্খা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে, সেটা পূরণ হয়নি আদর্শহীন, লুটেরা শাসকগোষ্ঠীর কারণে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি এদেশে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছে, আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নামে ক্ষমতায় বসে লুটপাট, কর্তৃত্ববাদের মাধ্যমে চেতনার মূলে আঘাত করেছে। এ অবস্থায় আমাদের সমাজ দুর্বৃত্তগোষ্ঠীর দখলে চলে গেছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ফিরতে হবে ভাষা আন্দোলনের-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।’

জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহআলম এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর নেতৃত্ব নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যানি সেন, জেলার সভাপতি ইমরান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক টিকলু কুমার দে, সহ সভাপতি অয়ন সেন গুপ্ত ও ডেনি বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেবনাথ এবং সদস্য অবিনাশ রায়, এস এম নাবিল ও বর্ষা দেবী ছিলেন।

বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণমুক্তি ইউনিয়ন, জাসদ, ন্যাপ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এবং দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফুল দেন। সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এবং কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুনের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা আলাদাভাবে ফুল দেন। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কলেজে শহিদ মিনারে ফুল দেন।

নগরীর চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নরুন নবী সাহেদ ও সাধারন সম্পাদক মো শহীদুল আলম শহীদদের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও ছিলেন- নুর মোহাম্মাদ সানি, লুৎফুল আজিম রেনেসাঁ, মনিরুল ইসলাম, হাসনাত পারভেজ, জাহিদ ইসলাম, নাইম উদ্দীন বিজয় , মিজানুর রহমান মানিক, মোহরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মিনহাজ উদ্দীন জুমন, আমিনুল ইসলাম রোহান, মামুনুর রশীদ মামুন, ইশতিয়াক গনি ইফতি, আজিম উদ্দীন আহাদ।

কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জুনাইদ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে ফুল দেন।

সাংস্কৃতিক গণসংগঠন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় উদীচী চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, সহ সভাপতি প্রবাল দে, বিধান বিশ্বাস ও তপন শীল, সহ সম্পাদক জয় সেন, ভাস্কর রায় ও মনীষ মিত্র চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ বাবলা চৌধুরীসহ শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া বীরদের শ্রদ্ধা জানিয়ে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা।

বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ, জেলা আইনজীবী সমিতি, হকার্স সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন-ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীসহ আরও বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের জন্য আইন করে দিয়েছে। কিন্তু স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাষার বিকৃতি ঘটছে। ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার যথাযথ ব্যবহারে বর্তমানে প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করা যেতে পারে।’

চুয়েটের শহিদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বক্তব্য রাখেন।

সভার আগে সকালে চুয়েট ক্যাম্পাসের আবাসিক উত্তর গোলচত্বর থেকে প্রভাতফেরি বের হয়।

বেসরকারি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন নগরীর জিইসি মোড়ের ক্যাম্পাসে শহিদ মিনারে মঙ্গলবার সকালে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে সমবেতদের উদ্দেশে অনুপম সেন বলেন, ’২১ ফেব্রুয়ারির মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা থেকে প্রকৃত জাতীয়তাবাদের উত্থান হয়। পাকিস্তান যখন হল, মুসলিম লীগের মুখ্য নেতাদের সবার মুখের ভাষা ছিল উর্দু। যদিও উর্দু ছিল পাকিস্তানের কেবলমাত্র সাড়ে সাত শতাংশ মানুষের মুখের ভাষা, অন্যদিকে ছাপ্পান্ন শতাংশ লোকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা। তবু পশ্চিম পাকিস্তান উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত করেছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফলে এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়। এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।’

অনুপম সেনের দাবি, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু ভাষাসংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। এর জন্য কারাবরণও করতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে।

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী, উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার এ কে এম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিমও বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-প্রশাসন বিভাগের অমল ভূষণ নাগ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের এম মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান স্থপতি সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইফতেখার মনির, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান তানজিনা আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য (পাবলিক হেলথ) বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ, প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রভাতফেরি শপথ

বিজ্ঞাপন

‘উইকড’ ও ‘রেড ওয়ান’ একই দিনে
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর