‘বিমানবন্দরের আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প একটি ল্যান্ডমার্ক’
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০২
ঢাকা: বিমানবন্দরের তিনটি টার্মিনাল, বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) ও মেট্রোরেল স্টেশন এবং আশকোনা হাজী ক্যাম্পকে সংযুক্ত করে নির্মিত হতে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এ টানেলটি হবে একটি ল্যান্ডমার্ক।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প’ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের ডিজাইন এবং সার্বিক বিষয়গুলোতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান। প্রকল্পের উপস্থাপনা দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘খুব সুন্দর হয়েছে। যা যা চাচ্ছিলাম তার সব কিছু এখানে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই সুন্দর হয়েছে। এটা হলে একটা ল্যান্ডমার্ক জিনিস ঘটবে। ওই এলাকায় যানজট এবং দুর্ঘটনাও কমে আসবে। মানুষ রেলে এসে নেমেই বিমানে উঠতে পারবে, পরিবেশও ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ যাতে সহজে এবং সুন্দরভাবে সেবা পায় সেটি মাথায় রেখে সব থেকে ইউনিক, সুন্দর ও টেকসই হতে হবে এই প্রকল্পটি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর সদরদফতর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগ্রেড। ১ হাজার ৭০ মিটার দীর্ঘ এই আন্ডারপাসটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা।
আন্ডারপাসটি চলন্ত সিঁড়ি ও লিফটের পাশাপাশি থাকবে বিমানবন্দরের মতো বাগি কার। এতে এসির পাশাপাশি প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও থাকবে। কোনো কারণে বিদ্যুৎ বিঘ্নিত হলে প্রাকৃতিক অক্সিজেন প্রবাহের জন্য ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও থাকবে।
এর ভেতর থেকে বের হওয়া ও প্রবেশের জন্য আটটি পথ থাকবে। সেইসঙ্গে এখানে থাকবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও। প্রায় দেড় লাখ লিটার পানি রিজার্ভ রাখা হবে এর ভেতর। এছাড়া আন্ডারপাসটিতে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম