বিদেশে আম পাঠানো নিয়ে শঙ্কায় সাতক্ষীরার চাষিরা
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩২
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি এখন শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিদেশেও সাতক্ষীরার আমের কদর বেড়েছে। সাতক্ষীরার প্রসিদ্ধ সুমিষ্ট হিমসাগর, নেংড়া, গোপালভোগ ও আম্রপলি জাতের আম সাধারণত বিদেশে রফতানি করা হয়।
তবে আম চাষি ও বাগান মালিকরা জানান, আম রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হলেও ব্যবসায়িদের সিন্ডেকেটের কারণে বিদেশে আম পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেকটা ঝামেলা পড়তে হয়। রফতানির ক্ষেত্র সহজ করা না হলে এবার আমা পাঠানো নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন তার।
এবার ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র আম চাষিদের উদীপ্ত করে তুলেছে। জেলায় ৫ হাজার ২৯৯টি আমের বাগানে ১৩ হাজার ১০০ জন চাষি বাগান পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছে চাষি ও বাগান মালিকরা।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, ফলের রাজা আমের মুকুল ফুটেছে গাছে গাছে, প্রতিটি ডালে শোভা পাচ্ছে সোনালী মুকুল। বসন্তের আগমনে আমগাছের শাখাগুলো ভরে গেছে উজ্জ্বল মুকুলে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় আমচাষিরা।
গাছে আসা পর্যাপ্ত আমের মুকুল থেকে গুটি গুটি আম যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য রাতদিন গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিদেশে আম রফতানি নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বাগান মালিক ও আম চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সাতক্ষীরায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জামাল উদ্দীন জানান, এবার সাতক্ষীরায় ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টন। এর মধ্যে কলারোয়া ও সদর উপজেলার ১০০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত রফতানিযোগ্য ২০০ টন আম বিদেশে রফতানি হবে।
সারাবাংলা/এমও