পরিবেশ দূষণ রোধে পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার করতে হবে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২১
ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জানিয়েছেন, প্লাস্টিক ও পলি জাতীয় শপিং ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটপণ্যের ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশে সফররত জার্মানির সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তিনি বলেন, আমরাও তাদের সাথে একমত, দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশে সফররত জার্মান সংসদীয় দলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জার্মানির সংসদ সদস্যদের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রিনাটে কুনচ, আন্দ্রেয় লারেম, পঁল লেহরিদার, রিয়া মোয়েডা, ম্যায়েটা কাফম্যাঁনো ও আন্দ্রেঁ হান।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘জার্মানিতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে। বিশেষ করে পাটব্যাগ, কার্পেটসহ আরও কিছু পণ্য এই তালিকায় রয়েছে। তবে শপিং ব্যাগগুলোকে পাটের কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় কি না এ বিষয়ে তারা বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা বলেছি আমরা এটা এগিয়ে নিতে কাজ করছি।’
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘জার্মানির সংসদীয় দলের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি তৈরিপোষাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তারা কারখানাগুলোর সার্বিক পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তারা কারখানাগুলোতে সৌরবিদ্যুৎতের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘জার্মান পার্লামেন্টারি দলের সদস্যরা আমাদের দেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। কারণ আমাদের তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি পণ্য রফতানি হচ্ছে ইউরোপে। ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতে আমাদের অনেক বেশি তৈরি পোশাক রফতানি হচ্ছে। এছাড়াও বৈঠকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তারা কারখানাগুলোর শ্রম আইন, মেশিনারিজ তথা সার্বিক পরিবেশ দেখে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘জার্মানির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাট শিল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, পাটকে কিভাবে বৈজ্ঞানিকভাবে আরও উন্নত করা যায়, যাতে করে আগামীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করে বিকল্প হিসাবে পাটকে কাজে লাগাতে পারি। এজন্য তারা বলছে, তোমরা সারা পৃথিবীতে খুঁজে খুঁজে দেখ কোন স্থানে কিভাবে পাটকে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও তারা বিদ্যমান পাটপণ্যের ব্যবহার দেখে খুশি হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশকখাতে জার্মানি বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তারা ডাব্লিউটিও’র আইন বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়টা দেখে। ফলে এই আইনটি বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমি জোনগুলোতে কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেগুলো তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বিস্তারিত বলেছি।’
সারাবাংলা/জিএস/রমু/এনএস
গোলাম দস্তগীর গাজী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক