‘ভাঙা পড়লেও সড়কের বিশাল ক্ষতি করবে না মেট্রোরেল’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৪
ঢাকা: রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক আট লেনের সড়ক নির্মাণ করছে সরকার। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তত্ত্বাবধায়নে নির্মাণাধীন ওই সড়কের কাজ দ্রুতই শেষ হচ্ছে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেট্রোরেল। সড়কের একাংশের মাঝে মেট্রোরেলের স্প্যান বসানোর জন্য এখন সেটি ভাঙতে হবে। তবে ‘এতে করে খুব বেশি ক্ষতি হবে না’ বলে জানিয়েছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এমআরটি লাইন-৫ এর স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘যেকোনো কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়। পূর্বাচল অংশে মেট্রোরেলের কাজ চলাকালে হয়তো রাস্তার সামান্য ক্ষতি হতে পারে। সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে।’
আইল্যান্ড ভাঙতে হবে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘এর সঙ্গে রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে কারও জমি, কারও ভবন, আবার কারও বাড়ি ভাঙা পড়ে। তার জন্য আমরা অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকি। এর আগে স্টাডি করে দেখি কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনশো ফিট সড়কের তেমন না, সামান্য ক্ষতি হবে। এতে রাস্তার বিশাল ক্ষতি হবে বলা যাবে না।’
প্রকল্প নেওয়া আগে থেকেই সেখানে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পর সাংঘর্ষিক হওয়া সমন্বয়হীনতা নয়, এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক সচিব বলেন, ‘আপনারা দেখবেন ৩০০ ফিট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝে লাইট লাগানো হয়নি। কারণ আমাদের সমন্বয় হয়েছে বলেই লাইটের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই স্থান দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে, তাই লাইট লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়কের মোট ১২টি আন্ডারপাসের মধ্যে বেশ কতগুলো ভাঙা পড়বে। মিনিমাম অংশে ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। এমন তো নয় যে, মেট্রোরেল আকাশ দিয়ে যাচ্ছে। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে কতটা ভাঙা হবে। কয়েকটি আন্ডারপাস ভাঙা হবে, এ নিয়ে আবারও আলোচনা করতে হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও