Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচন রুখে দেওয়া হবে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৭

ঢাকা: দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন রুখে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে নবাবগঞ্জের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শুরু হয় পদযাত্রা। দুই কিলোমিটারের পদযাত্রা বক্সবাজার মোড়ে এসে শেষ হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) তারা (সরকার) করতে চায় আবার আগের মতো। আবার আগের মতো ভোট লুট করে নিয়ে যাবে, চুরি করে নিয়ে যাবে। আমরা কি সেই নির্বাচন করতে দেব? আমরা কি রুখে দাঁড়াব?

‘রুখে দাঁড়াব। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, আমাদের অধিকারের জন্য, আমাদের বাংলাদেশেকে রক্ষা করবার জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করবার জন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আমরা বার বার মার খাচ্ছি মানুষ। এবার আর মার খেতে রাজি নই’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘সরকার যদি নিরপেক্ষ থাকতো আপনার ভোট আপনি দিতে পারতেন। যাকে খুশি তাকে দিতে পারতেন। এখন কি সেটা হয়? হয় না। এখন ওদের (আওয়ামী লীগ সরকার) কথা হচ্ছে, আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব। এজন্য এখন মানুষ বলতে শুরু করেছে আগে যদি জানতাম তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না। এই নৌকা মানুষ নেবে না। কারণ এই নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পদ্মাসেতু করেছে খুব ভালো। কিন্তু পদ্মাসেতুর ১০ হাজার কোটি টাকায় ৩০ হাজার কোটি টাকা করেছে। আর পাতাল রেলে করে কি কি করে? উন্নয়নের নদী বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নে সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না। এই সরকার যদি আবার আসে তাহলে এদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না, জাতির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আর বক্তব্য নয়। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে সোচ্চার হয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ১০ দফা দিয়েছি, তোমরা অবিলম্বে পদত্যাগ করো, সংসদকে ভেঙে দাও এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। জনগণ সেখানে ভোট দেবে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সেখানে যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আসে আসুক আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণের ভোটে আসতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই সংগ্রাম শুরু করেছি বাংলাদেশকে রক্ষা করবার জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করবার জন্য। তাই আসুন আমরা বিশেষ করে তরুণ যুব সমাজকে আহ্বান জানাব, বাংলাদেশে যত পরিবর্তন হয়েছে, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৯০ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সব কিছু তরুণ য্বুকরা করেছে। তরুণদের বলব, এগিয়ে আসুন। পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা জেলা আহ্বায়ক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চলনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির শিরিন সুলতানা, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, তমিজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও পদযাত্রায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান, স্থানীয় নেতা রাশেদুল ইসলাম, ইয়াসিন ফেরদৌসসহ জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও যুব দল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।

সারাবাংলা/ এজেড/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর