Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেঘনা গ্রুপের বহরে আরও ৪ জাহাজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নিজেদের বহরে আরও চারটি সমুদ্রগামী জাহাজ যোগ করেছে দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)।

পণ্যবাহী জাহাজগুলো হচ্ছে- এমভি মেঘনা বিজয়, এমভি মেঘনা প্রেস্টিজ, এমভি মেঘনা হোপ এবং এমভি মেঘনা প্রগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে মেঘনার বহরে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২টিতে। পণ্য পরিবহনক্ষমতা উন্নীত হয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার টনে, যার মধ্যে নতুন চারটির ধারণক্ষমতা ৬৬ হাজার টন।

মেঘনার নতুন চার জাহাজের মধ্যে এমভি মেঘনা বিজয় ৬২ হাজার মেট্রিকটন গম নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। পরে সেটি বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) জেটিতে নোঙ্গর করে। এর মধ্য দিয়ে পিসিটিতে প্রথমবারের মতো ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ নোঙ্গর করেছে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বন্দরের পিসিটি বার্থে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে চারটি জাহাজের উদ্বোধন করেন।

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর নিজামুল হক, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অব ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান।

মেঘনা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ১০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে চারটি জাহাজ নির্মাণের জন্য চীন-জাপানের যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান জিয়াংসু ইয়াংজি-মিতসুই শিপবিল্ডিং কোম্পানি লিমিটেডের সাথে চুক্তি হয়। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর জাহাজ চারটি সরবরাহ করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

চারটির মধ্যে মেঘনা বিজয় চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থান করছে। মেঘনা প্রেস্টিজ এখন মংলা বন্দরে আছে। মেঘনা হোপ ও মেঘনা প্রগ্রেস বর্তমানে চীনের উপকূলে পাল তোলার জন্য অপেক্ষা করছে।

২০১১ সালে জাহাজ খাতে বিনিয়োগ করা মেঘনা গ্রুপ বহরে ২২টি জাহাজ নিয়ে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতায় দেশের সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনায় শীর্ষস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নতুন চারটি জাহাজে আরও ১০০ নাবিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৫২টি কারখানা ও তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল মিলিয়ে মেঘনা গ্রুপ এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছে।

মেঘনার নতুন চারটিসহ বাংলাদেশের মোট পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা এখন ৯৫টি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বক্তব্যে বলেন, ‘মেঘনা গ্রুপ দেশের সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে। দেশের অন্যান্য উদ্যোক্তাদের মেঘনা গ্রুপের পথ অনুসরণ করে সরকারের দেওয়া সুযোগ ও নীতিগত সহায়তা গ্রহণ করে শিপিং খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের আমদানি-রফতানি পণ্য প্রধানত সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়। এজন্য বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশিরভাগই আগে বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলোকে পরিশোধ করতে হতো। ২০১৮ সালে সরকারের বেশ কয়েকটি নীতি সহায়তার পর বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা শিপিং সেক্টরে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করে। এর ফলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ৩৮ থেকে ৯৫টিতে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশি জাহাজে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৮০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে।’

‘চারটি নতুন বাল্ক ক্যারিয়ার যুক্ত করার মাধ্যমে মেঘনা গ্রুপের বহর এখন সমৃদ্ধ হয়েছে। দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এসব জাহাজ। পাশাপাশি গ্রুপের শিল্প ইউনিটগুলির জন্য কাঁচামাল আমদানির পাশাপাশি তৈরি পণ্য রফতানি সহজ হবে।’

বন্দরের চেয়ারম্যান এম শাহজাহান বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজগুলো বর্তমানে দেশের মোট পণ্যের মাত্র ৫ শতাংশ বহন করতে পারে। এ খাতে উদ্যোক্তাদের আরও বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছি।’

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৫০-এ ‘এমন যদি হতো’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩০

আদালতে হিরো আলমের ওপর হামলা
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৯

সম্পর্কিত খবর