সালাম দিয়ে ছিনতাই— জড়িত ৩২ সদস্য গ্রেফতার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৫
ঢাকা: সালাম দিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। অনেকেই এই ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে সবকিছু হারিয়েছেন। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা অনেক সময় ধরা পড়লেও বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যেতো। তবে এবার একসঙ্গে ৩২ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর সিও (কমান্ডিং অফিসার) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাজধানীর টিকাটুলীতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রেফতারের সময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে সুইচ গিয়ার চাকু, ক্ষুর, অ্যান্টিকাটার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা হলো- মোহাব্বত মিয়া (৪০), মো. মাসুম (৩৫), ফজল খাঁ (৩২), মো. সাইফ (৩০), মো. আকাশ (২৪), আবু বকর (২১) নজরুল ইসলাম (৪০) আলমগীর (২২), জাহাঙ্গীর (২৮), সোহেল (১৯), মো. সোহেল (৩২), সোহানুর রহমান সাগর (২০), মো. মামুন (১৯), লিটন (২১), আলমাস (২৮), সজুন মিয়া (২২), রাকিব (২৫), রিপন (২২), কালাম (৪০), নজরুল ইসলাম (৪০), সুমন মৃধা (২৬), অন্তর হোসেন রবিন (২৪), আবদুল রসুল (৩৮), মো. কবির (২৫), সামিদুল রহমান (৩৪), ইকবাল হোসেন (২০), কামরুল (২১), শহিদুল ইসলাম উজ্জল (২৬), মো. কালু (২০), মো. সুমন (২৫), মো. হৃদয় (১৯) ও সাজিদ খান (১৯)।
গতকাল রোববার রাজধানীর কোতোয়ালী, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর ও ওয়ারিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অধিনায়ক বলেন, ‘এই ৩২ ছিনতাইকারী এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। মাত্র কিছুদিন আগে তারা জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েই তারা সবাই আবারও ছিনতাই শুরু করেছে। র্যাব-৩ গত ৬ মাসে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ৭৯টি অভিযান চালিয়েছে। এতে মোট ২৬৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
র্যাব জানায়, যাদেরকে ছিনতাইয়ের টার্গেট করতো তাদের আগে থেকেই অনুসরণ করতো তারা। এরপর সদস্যরা আলাদা আলাদাভাবে বিভক্ত হয়ে যেতো। এরপর কেউ একজন ভিকটিমকে সালাম দিতো, বলতো ভাইজান ওই যে সেদিন দেখা হলো না। একথা সে কথা বলতে বলতেই চক্রের অন্য সদস্যরা ভিকটিমকে ঘিরে ধরতো। এসময় সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলে তাদের বলতো, আমরা ঝামেলা মিটমাট করছি।
এরপরই চক্রের সদস্যরা মিলে ছিনতাই কাজ শেষ করে সটকে পড়তো। তারা সিএনজি, রিকশা এবং অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নিতো।
ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও