Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গেজেট প্রকাশের পরেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে ইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৪

ঢাকা : নির্বাচনে অনিয়ম করে কেউ জয়ী হলে এবং সেই ফলাফলের ভিত্তিতে গেজেট প্রকাশ হলেও তা বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরইমধ্যে ইসির এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এমন ইঙ্গিত দেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ভোট বাতিলের ক্ষমতা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাবে আইন মন্ত্রণালয়ের সায় মিলেছে।

বিজ্ঞাপন

আরপিও সংশোধনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচনের গেজেট হওয়ার পরে অনিয়ম হলে আরপিওতে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। বন্ধ করাসহ অন্য উপায় অবলম্বনের জন্যই সংশোধনীর প্রস্তাবটা আমরা দিয়েছিলাম। ফলাফল ঘোষণার পরেও যেন ক্ষমতাটা কমিশনের হাতে থাকে। কিন্তু ওনারা বললেন যে, ৯১ (ধারা) দিয়েই কাভার হচ্ছে। কিন্তু ৯১ (ধারা) দিয়ে আসলে কাভার হয় না, আমরা যতটুকু জানি। ওনাদের যুক্তি তুলে ধরলাম।’

তিনি বলেন, ‘দুএকটা জায়গায় আরও চিন্তাভাবনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় বলেছিল। তার মধ্যে একটা ছিল- ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেললে, এতে ১ শতাংশ ভোটারকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ ব্যবহারের বিষয়টি নির্ধারিত করা, এটি আমরাও চাচ্ছিলাম। আইনেও এক শতাংশের বেশি অ্যালাউ করা হবে না। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা জানালেন যে- এটা বিধিমালা দিয়ে কাভার করা সম্ভব। এই একটা পয়েন্টে উনারা আপত্তি করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জয়েন করার কিছুদিন পরেই একটা ফাইল এলো। এতে দেখলাম যে ময়মনসিংহের দুর্গাপুরে একটা নির্বাচনে বোধহয় ব্যালট ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। তখন কমিশন গেজেট হওয়ার পর ভোট বাতিল করেছিল। কিন্তু মাননীয় হাইকোর্ট বলে দিয়েছিলেন যে- গেজেট হওয়ার পর কমিশনের করার কিছু থাকে না। এজন্য কমিশনের হাতে ক্ষমতা যেন থাকে এই প্রস্তাব করেছিলাম আমরা। উনারা জানতে চাইলে আমরা এই ঘটনাটির ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম।’

বিজ্ঞাপন

‘তখন কোর্ট কমিশনের কাছে ব্যালট চাইল, কিন্তু এটি তো তখনও উদ্ধার হয়নি। তো যেটা উদ্ধার হয়নি, সেটি কীভাবে কোর্টকে দেবে। এক্ষেত্রে তো কমিশনের কিছু করার থাকে না। এই রকম পরিস্থিতি যদি সামনে আসে কমিশনের হাতে অবশ্যই একটি ক্ষমতা থাকা উচিত, যে ওই নির্বাচনটা বন্ধ করে দেওয়া যায়। কারণ যিনি ডিপ্রাইভড হয়েছেন বলে মনে করেন, তার তো ক্ষতিপূরণের জায়গা নেই। এই কারণে আমরা সংশোধন আনার প্রয়োজন মনে করেছি।’

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘গেজেট হওয়ার পরে তো ট্রাইব্যুনাল। গেজেট হওয়ার আগে তো কেউ ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন না। যখন একজন হারবে, তিনি আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন, এটি ওনার রাইট।’

তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের যারা বৈঠকে ছিলেন তারা আমাদের জাস্টিফিকেশনে খুশি। তারা বলছেন আর কোনো অসুবিধা নেই। এখন কেবিনেটে যাবে। পাস হবে সংসদে। এটিই ওনারা পাঠাবেন। ভোটিংয়ে আর বাদ যাচ্ছে না। কিন্তু কেবিনেট থেকে যখন সংসদে যাবে। তখন ওনারা যদি মনে করেন কোনটা রাখব, কোনটা রাখব না, এতে তো কারোরই কিছু বলার নেই। এটি আইন মন্ত্রণালয়েরও প্র্যাকটিক্যালি কিছু করার থাকবে না।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘প্রত্যেকটা নির্বাচনে আমরা বলেই দেবো কত শতাংশ ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ইভিএমের ব্যালট ইউনিট ওপেন করতে পারবেন। কেননা, যার আঙুল নেই তাকে তো ভোট দেওয়ার সুযোগটা দিতে হবে। আর ১ শতাংশ একটি জাস্টিফাইড সংখ্যা। প্রতি নির্বাচনের আগে বিধি দ্বারা তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। অতীতে নাকি ৫ শতাংশও দেওয়া হয়েছিল এমন অভিযোগ অনেকে করেন। কাজেই জাস্টিফাইড একটা সংখ্যা দিলে কেউ আর কিছু বলতে পারবে না। তাই আমরা ১ শতাংশ দিতে চেয়েছিলাম।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি। প্রত্যেক ভোটের আগে আমরা সার্কুলার দিয়ে দিতে পারবো। কমিশন যখন সার্কুলার দেয় সেটাও কিন্তু আইন। আমরা আরপিওতে পাচ্ছি না, তবে বিধি দিয়ে করতে পারবো। আমরা সার্কুলার দিয়েই আগে করেছি। একটা পরিপত্র দিয়ে দিলেই হবে।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইসি গেজেট জাতীয়-নির্বাচন নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর