প্যাভিলিয়ন বাতিল ও টিকিটিং নিয়ে আলোচনা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:০৮
মিরপুর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাংলামোটর পর্যন্ত এসে প্রচণ্ড জ্যামের কারণে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বইমেলায় ঢুকেছেন গবেষক, লেখক অধ্যাপক ড. মোরশেদ শফিউল হাসান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম বইমেলায় প্রবেশের জন্য টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য। কেবল পাঠকরা বইমেলায় আসুক। বইমেলাকে ‘আড়ং’ বানিয়ে ফেলার দরকার নাই।’
খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী কে. এম ফিরোজ খান অধ্যাপক ড. মোরশেদ শফিউল হাসানের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘এটা তো বইমেলা। বইমেলাকে তো বইয়ের বাজার বানালে হবে না। এই যে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ বইমেলায় আসে। এদের মধ্যে এক শতাংশ মানুষও বই কেনে না। বইমেলার পরিসর ছোট করে টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করে দিলে, শুধু তারাই মেলায় আসবে, যারা বই কেনে এবং পড়ে। বইমেলায় সবার আসার প্রয়োজন নেই।’
গতকাল বইমেলায় এসে গবেষক, লেখক, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনও বলেছেন, টিকিটিং ব্যবস্থা করে বইমেলার ভিড় কমিয়ে আনা দরকার।
প্রকাশক এবং লেখকদের এই মতের সঙ্গে মেলায় আসা অনেকেই একমত পোষণ করলেন। পাশাপাশি ছোট-বড় সব প্রকাশনীর মধ্যে সমতা বিধান এবং উঁচু-নিচু ভেদাভেদ দূর করার জন্য প্যাভিলিয়ন সংস্কৃতি বিলোপের পক্ষে মত দিলেন কেউ কেউ। তাদের মতে, যেসব প্রকাশনীর বাংলাবাজারে নিজস্ব একটা অফিস নেই, নেই কোনো স্থায়ী ঠিকানা এবং পাঁচটি মানসম্পন্ন বইও যাদের নেই তারাও টাকার জোরে বইমেলায় প্যাভিলিয়ন নিয়ে বসে এবং পাইরেসি বই দিয়ে প্যাভিলিয়ন সাজায়। আর ‘বোকা বাঙালি’ প্যাভিলিয়নে চাকচিক্য দেখে হুমরি খেয়ে পড়ে।
অপর দিকে বিপুল সংখ্যক মানসম্পন্ন বই বের করেও এক ইউনিটের স্টল নিয়ে এতিমের মতো বসে থাকে অনেক প্রকাশনী। তাদের দিকে কোনো পাঠক ফিরেও তাকায় না। সুতরাং বাংলা একাডেমির উচিত উঁচু-নিচু ভেদাভেদ দূর করতে প্যাভিলিয়ন কালচার থেকে বেরিয়ে আসা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী কে. এম ফিরোজ খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্যাভিলিয়ন কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই যে আমি তিন ইউনিট নিয়েছি, এটাও থাকা উচিত না। বাংলা একাডেমির উচিত ইউনিটের আকার বড় করে এক ইউনিট এবং দুই ইউনিট ক্যাটাগরির স্টল বরাদ্দ দেওয়া। এতে করে পাঠক-দর্শনার্থীরা চাকচিক্য দেখে নয়, বইয়ের মান বিচার করে বই কেনার সুযোগ পাবে।’
বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে চাইলে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতে টিকিটিংয়ের ব্যাপারে একবার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আমরা টিকিটও ছাপিয়েছিলাম। কিন্তু ‘২১ নিয়ে বাংলা একাডেমি বাণিজ্য করছে’— এমন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। আবার যদি সবাই টিকিটিংয়ের ব্যাপারে একমত হয়, তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। মেলার সদস্য সচিব হিসেবে এ ব্যাপারে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আগামী বইমেলার আগে টিকিটিংয়ের এই প্রস্তাব বাংলা একাডেমির নির্বাহী সভায় তোলা হবে।’
প্যাভিলিয়ন বাতিল করার প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশ ও বিক্রেতা সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্যভিলিয়ন সংস্কৃতিতে যেতে হয়েছিল। তারা যদি চায়, এখান থেকে সরে আসবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তাছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, আমরা আর ওখানে বইমেলা করতে পারব না। তখন বাংলা একাডেমির সামনের সড়কে বইমেলা করতে হবে। ওখানে প্যাভিলিয়ন দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’
রামপুরা থেকে বইমেলায় আসা কবি চামেলী বসুও মনে করেন, বইমেলা যেহেতু অন্য সব মেলার মতো নয়। সেহেতু এখানে শুধু বইয়ের পাঠক, লেখক, প্রকাশকরা আসলেই হবে। মানস্পন্ন বই প্রকাশ ও বিক্রির মধ্যে বইমেলাকে সীমাবদ্ধ রাখা ভালো। এসব দিক বিবেচনা করে টিকিটিং সিস্টেম চালু করা দরকার। আর সমতা আনার জন্য প্যাভিলিয়ন কালচার বাতিল করার বিষয়টি বাংলা একাডেমি ভেবে দেখতে পারে।’
অবশ্য এর বিপরীত ভাবনার মানুষও ঢের আছে। সেগুনবাগিচা থেকে বইমেলায় আসা নীলাঞ্জনা ভৌমিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বইমেলা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত। পরিবেশ ফেরাতে আরও যত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, সেগুলো নিতে পারে বাংলা একাডেমি। কিন্তু টিকিটিং সিস্টেম চালু করে বইমেলাকে বাণিজ্য মেলায় রূপ দেওয়া যাবে না। আর প্যাভিলিয়ন কালচার বাতিল করে মেলার চাকচিক্য নষ্ট করার উচিত হবে না। যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে আছেন, তারা তো চাইবেই অন্যদের থেকে একটু আলাদাভাবে নিজেদের উপস্থাপন করতে। এতে তো কারও আপত্তি থাকার কথা না।’
এরকম নানা আলোচনা, সমালোচনা ও আড্ডার মধ্য দিয়ে বইমেলার ২৭তম দিন পার হয় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। এদিনও বইমেলায় প্রচুর লোকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বই বিক্রিও ছিল অন্য দিনের তুলনায় বেশি। তারপরও কোনো কোনো প্রকাশককে হতাশায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ জাকির হোসাইনের কাছে বই বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রীতিমতো সাংবাদিকতার ক্লাস নিতে শুরু করেন। বড় এবং ছোট প্রকাশনীর সংজ্ঞা জেনে রিপোর্টিং করার পরামর্শ দেন।
মূলমঞ্চের অনুষ্ঠান
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববাঙালির সাহিত্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আলম খোরশেদ। আলোচনায় অংশ নেন এ. এফ. এম. হায়াতুল্লাহ, আ-আল মামুন এবং জসিম মল্লিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বিশ্ববাঙালি বলতে পুরো বিশ্বের বাঙালি সম্প্রদায়কেই বোঝানো হয়, যার মধ্যে বাঙালির সর্ববৃহৎ দুই ঠিকানা, বাংলাদেশ ও ভারতও অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও যে সব সাহিত্যিক দেশান্তরী হয়ে বিদেশে বসবাস করছেন এবং যারা বিদেশে অভিবাসনের পর সাহিত্য রচনা শুরু করেছেন তাদের সকলের সাহিত্যকেই বিশ্ববাঙালির সাহিত্য বলা যায়। এদের মধ্যে কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গবেষক, শিশুসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, ভ্রমণ সাহিত্যিক, অনুবাদক, বিজ্ঞান লেখকসহ সবধরনের লেখকই রয়েছেন। তাদের লেখায় প্রবাসজীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, উপলব্ধি, স্বদেশের স্মৃতি-আখ্যান, অভিবাসী জীবনের সংগ্রাম, সংকট ও স্বপ্নের কথা প্রকাশিত হয়।’
আলোচকরা বলেন, বিশ্ববাঙালির সাহিত্যে প্রতিনিধিত্বকারী অনেক কবি, লেখক ও সাহিত্যিক বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাস করছেন। তাদের সাহিত্যের বহুমাত্রিকতা আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষায় রচিত গ্রন্থের প্রতি প্রবাসী বাঙালিদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের বাঙালিদের মধ্যেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববাঙালির সাহিত্যকে বেগবান করার ক্ষেত্রে অভিবাসী সাহিত্যিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসী লেখকরা তাদের লেখার মাধ্যমে স্মৃতিচারণ যেমন করেন, তেমনি বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসাও প্রকাশ করেন। দূরবিস্তারী চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক গভীরতাসম্পন্ন লেখালেখির জন্য বিস্তৃত অধ্যায়ন প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের প্রবাসীরা নানারকম সীমাবদ্ধতার মাঝে বসে সাহিত্য রচনা করেন। প্রবাসীরা যে ভাষাতেই লিখুন না কেন, তারা যেন মূল শেকড় থেকে বিচ্যুত না হন এবং বাংলা ভাষার প্রতি তাদের ভালোবাসা ধরে রাখতে পারেন।’
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন জাহিদ মুস্তাফা, মুমিত আল রশিদ, ফরিদ আহমদ দুলাল, আরেফিন রব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন রোকেয়া ইসলাম, শেখর বরণ, সৌম্য সালেক, খসরু পারভেজ, সুবর্ণ আদিত্য, জান্নাতুল ফেরদৌসী এবং থিউফিল নকরেক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাইমুন আনজুম ইভান, সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ, অনন্যা রেজওয়ানা এবং ফারহানা তৃর্ণা।
এছাড়া ছিল মিলন কান্তি দে-এর রচনা ও নির্দেশনায় দেশ অপেরা যাত্রাপালার পরিবেশনা ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে’। সংগীত পরিবেশন করেন ডা. রেজাউর রহমান, মো. আলী হোসাইন, মীর তারিকুল ইসলাম, পল্লবী সরকার মালতী, ঝর্ণা রায় ভাবনা, মুন্নি কাদের, আঁখি আলম, আরিফ বাউল, কামাল আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান চৌধুরী। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন গৌতম মজুমদার (তবলা), ডালিম কুমার বড়ুয়া (কি-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি) এবং মো. ফারুক (অক্টোপ্যাড)।
হুমায়ুন আজাদকে স্মরণ
বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর মৌলবাদী চক্রের সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে ‘হুমায়ুন আজাদের দিবসের ডাক পাইরেসিমুক্ত বইমেলা চাই’ এই প্রতিপাদ্যে একুশে বইমেলায় আজ বিকেল ৫টায় তাকে স্মরণ করা হয়। লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের যৌথ উদ্যোগে বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের তথ্যকেন্দ্রের সামনে আয়োজিত এ সভার শুরুতে তার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি আসলাম সানী, কবি মোহন রায়হান, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, হুমায়ুন আজাদের ভাই সাজ্জাদ কবীর, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী ওসমান গনি।
শেষ দিনের আয়োজন
আগামীকাল ১৫ ফাল্গুন, ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালার সমাপনী দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ দেবেন- একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন অমর একুশে বইমেলার সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২, কবি জসীম উদদীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ এবং অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে বিভিন্ন গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে।
গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩
সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনীকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করা হবে। ২০২২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে আহমদ রফিক রচিত ‘বিচ্ছিন্ন ভাবনা’ প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুক্স, মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ রচিত ‘বাংলা একাডেমি আমার বাংলা একাডেমি’ বইয়ের জন্য ঐতিহ্য এবং হাবিবুর রহমান রচিত ‘ঠার : বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা’ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। ২০২২ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খিকে রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হবে।
২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুথিনিলয় (প্যাভিলিয়ন), নবান্ন প্রকাশনী (২-৪ ইউনিট), উড়কি (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হবে। সন্ধ্যায় সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে রয়েছে সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম