ইউনিলিভার কমিউনিটি সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন ব্রিটিশ হাই কমিশনারের
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৪
ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দূরবর্তী চর এলাকায় অবস্থিত লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এর সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ফ্রেন্ডশিপের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের সামনে এই দুর্গম চরাঞ্চলে লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। প্রতিনিধি দল এ উদ্যোগের অব্যাহত পথচলা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি বিগত দুই দশকে কাজে সম্পৃক্ত সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোগী ও উপকারভোগী সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দল সামাজিক ব্যবসা, গভর্ন্যান্স, শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা ফ্রেন্ডশিপ এর বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে ঘুরে দেখেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবার মাধ্যমে ইউনিলিভারের লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল আশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনীতি হিসেবে বেড়ে উঠছে। বিগত ২০ বছরে প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণের মাধ্যমে ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে ইউনিলিভারের এই অংশীদারিত্ব অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’
‘এটি সবসময় উপলব্ধি করতে পারা আনন্দের যে, একটি ব্রিটিশ বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসায়ের মাধ্যমে কেবল অর্থনীতির ভিত-ই শক্ত করছে না, পাশাপাশি একটি দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে যুক্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে উপযুক্ত সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে জাতি বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে। লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এর মতো উদ্যোগগুলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন বদলে দেবার মতো প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করছি।’
ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এর সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য টেকসই বাসযোগ্য বিশ্ব তৈরিতে অবদান রাখা। আমরা প্রধান যে উপায় সমূহে এ কাজটি করে থাকি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- মানুষের সুস্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। আমাদের উদ্দেশ্য-চালিত ব্র্যান্ডগুলো, যেমন- লাইফবয় দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পরিচ্ছন্নতায় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা খাত এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছে। মান-সম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও বাংলাদেশের দূরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা সেবা পেতে সমস্যার মুখোমুখি হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ বছর আগে এ বিষয়টি উপলব্ধি করে লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল গড়ে তুলতে আমরা ফ্রেন্ডশিপের সঙ্গে অংশীদারিত্ব তৈরি করি এ হাসপাতালটি সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। আমি বিগত ২০ বছর ধরে ৬ লাখ ৫৭ হাজার রোগীর জীবনমান উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা দেশের এবং দেশের বাইরের স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের পরিশ্রম ও তাদের দায়বদ্ধতার প্রশংসা করছি। এ স্বাস্থ্যসেবা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে ও সাশ্রয়ীভাবে পৌঁছে দিতে ইউনিলিভার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সারাবাংলা/ইআ
ইউনিলিভার বাংলাদেশ ব্রিটিশ হাই কমিশনার লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল