ঢাকা: পরিকল্পনা অধিদফতরের বাজেট সহকারী মো. জহির উদ্দিন বাবরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে অসাধু উপায়ে অর্জিত পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৪ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাবর লক্ষীপুর জেলার সদর থানার আমানী লক্ষীপুর গ্রামের হাজী মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে।
রায়ে দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় আসামির দুই বছরের এবং ২৭ (১) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রায়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আসামি পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার পর আসামির বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এক কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮০ টাকা মূল্যমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত আয় স্থানান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৫ টাকা মূল্যমানের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখেন।
এই ঘটনায় ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল কাদের ভূঁইয়া মামলাটি দায়ের করেন। পরের বছর ১২ অক্টোবর মামলা তদন্তের পর একই কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করেন।