অধিদফতরের মাধ্যমে বই ছাপাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৪
ঢাকা: আগামী বছর থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে ছাপানোর কথা জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি পেলে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বৃত্তির ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
চলতি বছরকে নির্বাচনি বছর উল্লেখ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছি আমরা। ইতোমধ্যে এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে শুরু করে সবাইকে নিয়ে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা জারি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো মূল্যে সব পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব। এজন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে।’
এনসিটিবি আইন তুলে ধরে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আইনে রয়েছে পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রণয়ন ও মুদ্রণের কাজ এনসিটিবি করবে। আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছি। সেখানে প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে কথা বলেছি। সেখানে কী কী সুবিধা-অসুবিধা, কোনটা হলে জনগনের ভালো হয়, শিক্ষার্থীদের ভালো হয়- সেভাবে পর্যালোচনা করেছি।’
সচিব বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছরের বই যেভাবে আছে সেভাবে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবো। এনসিটিবি আসলে ওভারবার্ডেন। তাদের কার্যপরিধি অনুযায়ী জনবল সংকট রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। কাজটা করার সক্ষমতা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রয়েছে। আমাদের বরাদ্দ রয়েছে। কাজটা যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে করতে পারি তাহলে সরকারের অন্তত ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, যেভাবে বলবেন সেভাবে আমরা কাজ করব।’
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম