ভাষা আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৮
ঢাকা: ভাষার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র জনতার বিস্ফোরণ ঘটলেও পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই মূলত রাষ্ট্র ভাষা নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক শুরু হয়। মুসলিম লীগ সরকার উর্দু ভাষাকে সুকৌশলে বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণ পরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দূ ও ইংরেজীর সাথে বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি তোলেন। ১৯৪৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আনন্দ বাজার পত্রিকা ও ২৭ ফেব্রুয়ারি অমৃত বাজার পত্রিকা এখবর প্রকাশ করে। কয়েকটা পত্রিকা সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়।
ভাষা আন্দোলনকে সাংগঠনিক রূপ দিতে ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। সংগ্রাম পরিষদে ‘ইনসাফ’, ‘জিন্দেগী’ ও ‘দেশের দাবী’ পত্রিকা থেকে তিন জন করে প্রতিনিধি নেওয়া হয়।
ভাষার আন্দোলনের সূচনাকালে ১৯৪৭ সালের ২২ জুন কলকাতার দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার বরিবাসরীয় বিভাগে ‘বাংলা ভাষা বিষয়ক প্রস্তাবনা’ শিরোনামে লেখক সাংবাদিক আব্দুল হকের একটি প্রবন্ধের প্রথম অংশ ছাপা হয়। দ্বিতীয় অংশটি ছাপা হয় ২৯ জুন। বাংলার ভাষাগত স্বাতন্ত্র্য সম্পর্কে প্রবন্ধে বলা হয়, ‘আমরা কেন আমাদের দেশে ইংরেজি-উর্দূ-হিন্দি বলতে বাধ্য থাকবে? আমাদের দেশে যারা বাস করে সেইসব ইংরেজ বা উর্দূ-হিন্দিভাষীরা কেন বাংলা শিখতে বাধ্য হবে? আমার মত এই যে, এ দেশে যেসব ভারতীয় অথবা অবাঙ্গালী বাস করবে তাদের বাংলা শিখতে হবে, যদি তারা এ দেশে বাস করতে চায় এবং আমাদের সাথে চলতে চায়। বাংলা শিক্ষা তাদের গরজ। তাদের জন্য ইংরেজী বা উর্দূ-হিন্দি শেখা আমাদের গরজ নয়, বরং আমাদের পক্ষে ঘোর অমার্যদাকর।’
বাংলা ভাষা সংগ্রামে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ সহ পূর্ব বাংলার বেশ কিছু দৈনিক বাংলা ভাষা সংশ্লিষ্ট সংবাদ, প্রতিবেদন, নিবন্ধ, উপ-সম্প্রদকীয়, কবিতা, গান, কার্টুন ইত্যাদি প্রকাশের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের ব্যাপক জনমত ঘটাতে থাকে। তবে দৈনিকের চেয়ে সময়ের সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোর তির্যক আলোচনা জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। আজকে দৈনিক ইত্তেফাক সে সময়ের সাপ্তাহিক হিসাবে প্রকাশিত হত। সম্পাদক ছিলেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। মুদ্রাক্ষর ও প্রকাশক ছিলেন ঢাকার কারকুনবাড়ি লেনের ইয়ার মোহাম্মদ খান। সাপ্তাহিকটি ছাপা হত ৯ হাটখোলা রোডের প্যারামাউন্ট প্রেস থেকে।
১৯৫২ সালে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি ইত্তেফাক প্রথম পৃষ্ঠায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপে। যার শিরোনাম ছিলো, ‘দেশের কাছে লাল ফেব্রুয়ারির শহীদদের ডাক আসিয়াছে।’ ‘বাংলা ভাষার সংগ্রামকে সফল করিয়া রক্তের প্রতিশোধ নাও।’ ‘নুরুল আমিন ও প্রতিশ্রুতির পিচ্ছিল পথে পা বাড়াইয়াছেন। জনগন হইতে বিচ্ছিন্ন সরকার আজ মিলিটারির জোরে বাঁচিয়া আছে’।
১৯৫২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশ্য গণআদালতে প্রাদেশিক সরকারের বিচার দাবি করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘… মুসলিম লীগ সরকার তার অতীতের সব কুকীর্তিকে ম্লান করিয়াছে … আহত ছাত্র ও শিশুর ক্রন্দনে ঢাকার আকাশ বাতাস মুখরিত। ছেলে হারা মায়ের বুকফাটা আর্তনাদে জনতাকে আকুল করিয়াছে। আজ পাকভূমির পাক রাজধানী এক শ্মশানে পতিত … তাই সরকারের এই বর্বরতার ক্রমবর্ধমান ব্যাপকতার সর্বত্রই আজ বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ জাগিয়া উঠিয়াছে … কেন তারা নিরীহ ছাত্র ও পথচারীদের ওপর বেপরোয়া গুলি চালাইয়া কতগুলো মূল্যবান জীবন নাশ করিল… তাই দেশের অযুত কন্ঠের সঙ্গে কন্ঠ মিলাইয়া আমাদের ঘোষণা শুধু ছাত্র জনতার ঘাতক সরকারি কর্মচারীদের নয়, এ জঘন্য হত্যাকান্ডের হোতা সরকারের বিচার চাই প্রকাশ্য গণ আদালতে।
এদিকে সাপ্তাহিক সৈনিক প্রকাশনার শুরু থেকেই বাংলা ভাষার পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। পত্রিকাটি প্রকাশ হয় ১৪ নভেম্বর ১৯৪৮ (২৮ কার্তিক ১৩৫৫)। এ পত্রিকার সাংবাদিকরা ভাষা বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থেকেছেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও কয়েকজন শহীদ হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সৈনিক-এর শহীদ সংখ্যা। লাল কালিতে ও লাল বর্ডার দিয়ে প্রকাশিত এই সংখ্যার উল্লেখযোগ্য শিরোনাম ছিল, ‘শহীদ ছাত্রদের তাজা রক্তে, রজাধানী ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত। মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ছাত্র সমাবেশে নির্বিচারে পুলিশের গুলি বর্ষণ। গত বৃহস্পতিবার ৭ জন নিহত, ৩ শতাধিক আহত, ৬২ জন গ্রেফতার, শুক্রবারেও ব্যাপক সংখ্যক লোক হতাহত, রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্রভাষা করার শপথ বিঘোষিত।’ সাপ্তাহিক সৈনিকের এ সংখ্যাটি দারুণ ভাবে লুফে নেয় পাঠক জনতা। তাদের চাহিদা মেটাতে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে এ সংখ্যাটির তিনটি সংস্কারণ করতে হয় সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে। সাপ্তাহিক দৈনিকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন শাহেদ আলী। পরবর্তীতে আব্দুল গফুর। প্রকাশিত হতো ১৯ আজিমপুর রোড, ঢাকা থেকে।
তমদ্দুন মজলিসের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক ভাষা বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ও খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, ‘উর্দূকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করিবার চক্রান্তকে রুখিয়া দাঁড়াইতে হইবে। নজিমুদ্দিনের বক্তৃতার প্রদেশ ব্যাপী বিক্ষোভ। নাজিমদ্দিনের বিবৃতির প্রতিবাদ করে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিসের ঢাকা কেন্দ্রের আহবায়ক মি. মাহফুজুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তমদ্দুন মজলিসের সম্পাদক মি. শাহাবুদ্দীন খালেক সংবাদ পত্রে যে বিবৃতি দেন তাও সৈনিকে প্রকাশিত হয়।
অন্যান্য পত্রিকার মধ্যে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সমর্থনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত নতুন দিন, সম্পাদক খন্দকার আব্দুল কাদের, ফেনী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সংগ্রাম, সম্পাদক খাজা আহমেদ, চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত প্রগতিশীল গোষ্ঠীর সীমান্ত। সিলেট থেকে প্রকাশিত ‘নওবেলাল’ সম্পাদক মাহমুদ আলী। ধর্মের জিকির তুলে এবং পাকিস্তানের অখণ্ডতার দোহাই দিয়ে যে সব বাংলা মাসিক পত্রিকা ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধীতা করেছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মাওলানা আকরাম খাঁ সম্পাদীত মাসিক মোহাম্মদী। এরপরই সরকারি মালিকানার মাসিক ‘মাহে নও’ এর সম্পাদক ছিলেন কমরেড মুজ্জাফর আহমেদের জামাতা কবি আব্দুল কাদের। এ ছাড়া মাসিক ‘দিলরুবা’ ও মাসিক ‘নওবাহার’ পত্রিকার ভূমিকা ছিল দারুন প্রতিক্রিয়াশীল। ‘নওবাহার’ পত্রিকার সম্পাদিকা ছিলেন কবি গোলাম মোস্তফার সহধর্মিনী মাহফুজা খাতুন, মাসিক দিলরুবা পত্রিকাটি ছিল উর্দূ ভাষার সমর্থক।
ভাষা আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সংবাদ পত্র শুধু জনমত গঠনেই অবদান রাখিনি। বরং সংবাদপত্র সংশ্লিষ্টরা এদেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের স্বপক্ষে লড়েছেন। দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘নওবেলাল’ সম্পাদক মাহমুদ আলী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হতে পদত্যাগ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনা করেন। ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দৈনিক মিল্লাত, দৈনিক ইনসাফ ও দৈনিক আমার দেশ। ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনার মিল্লাত ব্যানার শিরোনাম করে ‘রাতের আঁধারে এত লাশ যায় কোথায়?’ ঘটনার পর মিল্লাত সম্পাদক মো. মোদাব্বেরের নামে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হয়।
বাংলা ভাষা আজ বিশ্বের এক অনন্য ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন শুধু মাত্র শহীদ দিবস নয়, এটা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালেই ছাত্রছাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। তৎকালীন আমতলায় বসে সভা।
১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে-বিপক্ষে চলে তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঘোষণা আসে। স্লোগান ওঠে, ‘১৪৪ ধারা ভাঙতে হবে’, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’।
হাবিবুর রহমান শেলীর নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন একদল ছাত্রছাত্রী। এরপর দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়।
বিকেলে পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। ছাত্রজনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট পুলিশ। শহীদ হন সালাম-বরকত-রফিকসহ নাম না-জানা অনেকেই।
২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ভাষার প্রশ্নে আগের রহস্যের জাল ছিন্ন করে দৈনিক আজাদ। এদিন সন্ধ্যায় দৈনিক আজাদ প্রকাশ করে বিশেষ টেলিগ্রাম। ব্যানার হেডলাইন করা হয়, ‘ছাত্রদের তাজা খুনে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত’। মুসলিম লীগ সরকার দৈনিক আজাদের এই সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। ঘটনার প্রতিক্রিয়া নিয়ে পরবর্তী কয়েক দিন দৈনিক আজাদ প্রচুর সংবাদ ছাপে। ভাষা আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা নেয়।
মর্নিং নিউজ ছিল উর্দু ভাষার সমর্থক। পত্রিকাটি ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উগ্র প্রচারণা চালায়। ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনাকেও তারা বিকৃত করে ২২ ফেব্রুয়ারি খবর প্রকাশ করে।
ভাষা আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলন বলেন, ‘পাকিস্তানিরা একটি সাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে একটি ভাষার চরিত্র নির্ধারণ করেছিল। বলা হয়েছিল্ল- বাংলা ভাষা হচ্ছে হিন্দুদের ভাষা, আর উর্দু মুসলিমদের ভাষা। একটি অসত্য চিন্তা দিয়ে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এই ভাষাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। সংস্কৃতিগত ও জাতীয়তাবাদী চেতনার জায়গা থেকে তুলে ফেলা এবং সাম্প্রদায়িক চরিত্র দিয়ে একটি ভিনদেশি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তার পথ ধরেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে সবসময়ই ইতিহাস-সময় ও প্রেক্ষাপটের কাছে দায়বদ্ধ। ভাষা আন্দোলনেও গণমাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, জনমত সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকিতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস প্রণয়নের কাজটি এখনও অসম্পূর্ণ। তবে ওই সময়ের পত্র-পত্রিকা দেখলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে বেশ ধারণা পাওয়া যায়। গণমাধ্যম তার কাজটি ওই সময়ে করতে পেরেছিল। খবর-প্রতিবেদনে সময়কে ধারণ করেছে। তাই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক বেশ নিবিড়।’
সারাবাংলা/একে