Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কেদারখোলা থেকে বালু উত্তোলনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম চর কেদারখোলা বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (বিজি), চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ১০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি এ বিষয়ে পশ্চিম কেদারখোলা বালু মহাল ইজারা বাতিল, বালু মহাল বিলুপ্তকরণ, বালু মহাল সংলগ্ন এলাকার নদী ভাঙন রোধ ও বসতভিটা সংরক্ষণে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে দেওয়া চিঠি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমী।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম চর কেদারখোলা বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার নদীর চরে ভাঙন শুরু হয়। এর ফলে স্থানীয়রা বিপাকের মুখে পড়ে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকার বাসিন্দারা ডিসির কাছে আবেদন করে। কিন্তু ডিসি কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা রিটটি দায়ের করে।

আজ শুনানি শেষে আদালত পশ্চিম চর কেদার খোলা বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ডিসির কাছে এলাকাবাসীর করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে ওই স্থান থেকে আপাতত কেউ বালু উত্তোলন করতে পারবেন না।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (বিজি), চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইজারার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মেঘনা নদীতে ফ্রি স্টাইলে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। প্রতিদিন প্রায় ২০টি ড্রেজার দিয়ে নদীর চর ঘেঁষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এমনকি সুযোগ বুঝে ড্রেজার লাগিয়ে মেঘনা চরের ফসলি জমি পর্যন্ত কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে করে চরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হবার পাশাপাশি তীরবর্তী চরলালপুর গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছে।

জানা যায়, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর লালপুর ও নবীনগর উপজেলার চর কেদারখোলার দুটি বালু মহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। দুটি বালু মহালেরই ইজারা পেয়েছেন মেসার্স মৌসুমী ড্রেজিং সার্ভিস। যার স্বত্বাধিকারী পার্শ্ববর্তী ভৈরব উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন মিন্টু।

সম্প্রতি চর লালপুর বালু মহালের ইজারামূল্য জমা দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে ইজারাদার। কিন্তু দুই-এক দিন যেতে না যেতেই ইজারায় উল্লিখিত এলাকা থেকে তারা বালু উত্তোলন না করে উত্তোলন খরচ কমাতে এবং অতিরিক্ত বালু পাবার লোভে নদীর চর ঘেঁষে বালু উত্তোলন শুরু করে ইজারাদার। এমনকি সুযোগ বুঝে ড্রেজার লাগিয়ে তারা মেঘনা চরের ফসলি জমির মাটি কেটে নিতে থাকে। এতে করে সংশ্লিষ্ট জমির বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ছাড়া ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে ফেলার কারণে চরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর