গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আল আমিনও মারা গেলেন
১ মার্চ ২০২৩ ২৩:৪৩
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে স্ত্রীর পর মারা গেলেন দগ্ধ স্বামী আল আমিন হোসেন (৩০)।
বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আল আমিনের শরীরের ৯২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
একই ঘটনায় সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে মারা যান আল আমিনের স্ত্রী সুখি আক্তার। এছাড়া বর্তমানে ১২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন রাজমিস্ত্রীর সহযোগী রফিক মিয়া (৪৫)। বাকি দুজনকে ওইদিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লা লামারবাগ মেট্রো গার্মেন্টস সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়ির নিচে তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন- গার্মেন্টস কর্মী আলআমিন হোসেন (৩০), তার স্ত্রী সুখি আক্তার (২৫), পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগম (৬০) ও তার ছেলে জামাল হোসেন (৪০) এবং রাজমিস্ত্রির সহযোগী রফিক মিয়া (৪৫)।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা আল আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, সুখি মেট্রো গার্মেন্টসে চাকরি করতো। আর তার স্বামী আলআমিন মোতালেব মনোয়ারা গার্মেন্টসে। ওই বাড়ির নিচ তলার একটি রুমে ভাড়া থাকেন তারা। দু’জন দুপুরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে খাবার গরম করার জন্য রান্না ঘরে যান। সেখানে দিয়াশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাদের দুজনের সমস্ত শরীর পুড়ে যায়। এবং পাশের রুমে থাকা আলেয়া বেগম, তার ছেলে এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করা রফিক মিয়াও সামান্য দগ্ধ হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ আলেয়া বেগম জানান, রান্নাঘরটিতে বেশ কয়েকদিন ধরে গ্যাস লিকেজের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। এজন্য চুলাতে গ্যাস বের হতো না।
আলআমিনের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আলিয়াপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. শহিদ। আল আমিন ও সুখির একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকে।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম