Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার কারিগর নতুন প্রজন্ম’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ মার্চ ২০২৩ ১৪:১০

ঢাকা: নতুন প্রজন্মই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা আরও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে, কারিগর হবে আমাদের এই নতুন প্রজন্ম। আমাদের জীবন থেকে হয়ত ২৯টা বছর নষ্ট হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে এ সরকার গঠন করার পর মাত্র এই ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নতুন প্রজন্মকে দেশের এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে থামলেই চলবে না। আমাদের আরও সামনে যেতে হবে। সে জন্য ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছি। তারই ভিত্তিতে আমাদের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাও প্রণয়ন করে যাচ্ছি। আমাদের নতুন প্রজন্ম তারাই এদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারাই আরও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে তার কারিগর হবে আমাদের এই নতুন প্রজন্ম।

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। কারণ আত্মবিশ্বাসই শক্তি জোগায়। প্রেরণা জোগায়। আমি চাই আমাদের দেশ কোনো অংশে কারো চেয়ে পিছিয়ে থাকবে না। কারো কাছে হাত পেতে চলব না। আমাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের জীবন থেকে হয়ত ২৯ বছর নষ্ট হয়েছে। কিন্তু ২০০৯ এ সরকার গঠন করার পর মাত্র এই ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন এসেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলারই পদক্ষেপ নিয়েছি। সেভাবেই আামদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে হবে। যারা হবে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট জনগোষ্ঠী। আামদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থনীতি। আর্থসামাজিক উন্নতির স্মার্ট উন্নতি আমরা করব। কৃষি স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সর্বক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা একটা স্মার্ট দেশ গড়ে তুলব। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ।

গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতবেশি গবেষণা বাড়বে ততবেশি জাতি হিসেবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের দেশের মানুষ অবদান রাখতে পারবে।

গবেষণা সাফল্য এনে দিতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, আমিষ উৎপাদনে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। সবই গবেষণার ফসল।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটাকে মোকাবিলা করার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরাই প্রথম ২০০৯ সালে আলাদা ট্রাস্ট ফান্ড করেছি এবং কী কী প্রজেক্ট নিতে হবে সেগুলো শুরু করি।’

সমুদ্র সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সুনীল অর্থনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এ জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই আমাদের আরও অনেক বিজ্ঞানী দরকার। খুব দক্ষ বিজ্ঞানী দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা গবেষণার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’

যারা অনুদান পেয়েছেন তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষণা করবেন। সেই সঙ্গে আমি জানতে চাই, আপনারা কী কী গবেষণা করলেন এবং তা আমাদের দেশের কতটুকু কাজে লাগবে। আর গবেষণার আসলে শেষ নেই। আর প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি পরিবর্তন হচ্ছে। এখন নতুন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ এসে গেছে। যেখানে হয়ত আমাদের লোকবল কম লাগবে কিন্তু টেকনোলজি আমাদের ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। আবার আমাদের শ্রম শিল্পও করা দরকার; কারণ, বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান করতে হবে। দু’টো মিলিয়ে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে পারি, সেই চিন্তাটা সবার মাথায় থাকতে হবে।’

স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে গবেষণাটা আমাদের খুবই দরকার। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে গবেষণা খুবিই সীমিত কয়েকজন করেন। আরও বেশি যেন গবেষণা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা খুব সীমিত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা ডাক্তার হন, হয় তারা পুলিশে চলে যান না হলে রাজনীতিবিদ হয়ে যান। কিন্তু ডাক্তারিও করেন না, গবেষণাও করেন না। আর এক শ্রেণী আছে তারা শুধু টাকা কামাই করতেই ব্যস্ত। সরকারি চাকরিও করবেন, আবার প্রাইভেটেও প্রাকটিস করবেন। এভাবে সরকারি চাকরি আর প্র্যাকটিস করলে কিন্তু গবেষণা করা হয় না।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

নতুন প্রজন্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর