মন্দিরে কোরআন রাখার অভিযোগ স্বীকার, যুবকের কারাদণ্ড
২ মার্চ ২০২৩ ১৮:০৬
ঢাকা: কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইকবাল হোসেন দোষ স্বীকার করায় আদালত তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে দোষ স্বীকার করেন তিনি। গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত ইকবাল হোসেনের কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন আদালত। সে হিসেবে তার এক বছর চার মাস কারাভোগের সাজা হয়।
এদিন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য ধার্য ছিল। মামলার বাদী টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই রাজীব হোসেনসহ পাঁচজন সাক্ষ্য দেন। ইকবাল হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত তার কাছে জানতে চান, সাক্ষীদের জেরা করবেন কি না। তখন ইকবাল বলেন, আমি আর কি জেরা করবো। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত। আমি আর অপরাধ করবো না। এরপর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছর চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি শামীম আল মামুন এসব তথ্য জানান।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজা মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই রাজীব হোসেন মামলাটি করেন।
মামলাটি তদন্ত করে একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর অহিদ মিয়া রোকন মিয়া ও ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সারাবাংলা/এআই/ইআ