আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি না: মঈন খান
২ মার্চ ২০২৩ ২১:৩৭
ঢাকা: আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটর সদস্য সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের বিএনপি সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে বলে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, আর কায়েম করে একদলীয় বাকশালী শাসন। যারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, তারা কীভাবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হল। পথে ঘাটে— সব স্থানে বলে যাব, আওয়ামী লীগ কখনো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চে কালরাত্রে যখন হায়নার মতো পাকিস্তানি বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন আওয়ামী লীগের কী ভূমিকা ছিল। তাদের ভূমিকা ছিল পলায়নপর রাজনৈতিক দলের ভূমিকা। তারা পালিয়ে গিয়েছিল। তারা কাপুরুষের মতো অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। আর জিয়াউর রহমান কী করেছিলেন? স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানীদের ভয় পাননি। এ কথাগুলো নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আজকে সরকার মিথ্যে ইতিহাস প্রকাশ করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সত্যিকারের ইতিহাস আমাদেরকে তুলে ধরতে হবে।’
উপস্থিত চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে ড মঈন খান বলেন, ‘আমরা যে আন্দোলন করছি, এই আন্দোলনে আমরা সফলতা অর্জন করব। আমরা এই সরকারের অবসান ঘটিয়ে এখানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করব। আমাদের চলমান কর্মসূচি কোন পর্যায়ে নিয়ে গেলে বর্তমান সরকারের অবসান ঘটাতে পারব, এ বিষয়ে আপনারা মতামত দিয়ে যাবেন।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে যান নাই। তিনি বেগম খালেদা জিয়া এবং তার সন্তানকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে যুদ্ধে গিয়েছেন। তিনি সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শৃঙ্খলার সাথে রাজনীতি করেছেন। জিয়াউর রহমান রাজনীতির মধ্যে যে শৃঙ্খলা এনেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা খুব বিরল।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, এডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু।
সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিভাগের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২১৫ জন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সারাবাংলা/এজেড/একে