গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হতে চায় জবি শিক্ষক সমিতি
৩ মার্চ ২০২৩ ১২:১১
জবি: গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল গঠনের জন্য উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)।
জবিশিস সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের সই করা স্মারকলিপিতে এই দাবি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) শিক্ষক সমিতির এক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে সরে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই আপনাকে (উপাচার্য) অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল ডাকবেন বলে গত ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অবহিত করেছিলেন। তবে একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভাটি দুইবার (২২ ফেব্রুয়ারি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি) ডেকেও তা স্থগিত করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পূর্বের সভার নেওয়া সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে উপস্থাপন করা হয়।’
‘আজকের জরুরি সাধারণ সভায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তরিত লিখিত বক্তব্য এবং মন্ত্রী কর্তৃক গুচ্ছে থাকার আহ্বান সম্বলিত সকল বিষয় সাধারণ সভায় অবহিত করা হয়। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের-৪০ ধারা সমুন্নত রাখা, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানো, একাডেমিক এক্সিলেন্স এবং বঙ্গবন্ধু প্রতিশ্রুত বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আজ ২ মার্চের জরুরি সাধারণ সভায়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পূর্বের নেওয়া সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সহকর্মীরা অনড় থাকেন।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে এবং ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায়, আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় আগামী ১২ মার্চের মধ্যে বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল সম্পন্ন করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্ত আপনার সক্রিয় সহযোগিতা ও নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
সারাবাংলা/এনএস