Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিনের মেয়াদ ১ বছর বাড়ল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:০৫

হাইকোর্ট

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের জামিনের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৫ মার্চ) হারুনের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

চার মাসের জামিনে থাকা হারুনের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি তিনি ফের হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি শেষে রোববার এক বছরের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এর ২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে রায়ে। আর ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের’ কথা বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে এই অপরাধের সর্বনিম্ন সাজায় দণ্ডিত করে।

এ ছাড়া হারুনের অবরুদ্ধ সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাবে অবমুক্ত (রিলিজ) করার নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন।

পরে গত বছরের ৯ জুন তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জরিমানা স্থগিত করেন আদালত। এরপর গত বছরের ৩০ আগস্ট এ মামলায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছিলেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দু’টি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

জামিনের মেয়াদ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর