সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণ মগবাজারের মতোই— ধারণা সিটিটিসির
৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:১৫
ঢাকা: রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বাণিজ্যিক ভবনের তিন তলায় বিস্ফোরণের ঘটনাকে মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো বলছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট।
রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ও সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল দলের প্রধান রহমত উল্লাহ চৌধুরীর।
রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ। ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের মাত্রা যদি ৫ থেকে ১১ ঘনফুট হয়, এটা যদি ট্রিগার হয়, তাহলে এ ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। এটি ট্রিগার সুইচ, ফ্যানের সুইচ বা এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। এটা গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ হতে পারে। আর এত বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে।’
এডিসি আরও বলেন, ‘বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে নগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে। এগুলো জ্বালানোর আগে দরজা-জানালা খুলে যেন কক্ষ থেকে আগে গ্যাস বিতাড়িত করা হয়।’
ভবনটিতে কিভাবে গ্যাস জমতে পারে? প্রশ্ন করা হলে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘এখানে যেকোনোভাবে গ্যাস জমা হয়ে থাকতে পারে। সেটা সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমেও হতে পারে।’
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩৭ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে একটি তিন তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১২ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে বেশ কয়েকটি ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায়। অসংখ্য যানবাহন ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম