তামাক শিল্পে দেশীয় কোম্পানি রক্ষার দাবি চাষিদের
৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৮
ঢাকা: দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্প রক্ষায় নিম্নস্তর শুধুমাত্র দেশীয় কোম্পানির সিগারেটের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন অবহেলিত তামাক চাষিরা। রোববার (৫ মার্চ) কুষ্টিয়া পৌরসভার সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষায় এখনই প্রতিযোগিতা আইনের সঠিক বাস্তবায়ন চাই’, ‘নিম্ন স্ল্যাবের সিগারেট উৎপাদনে বিদেশি কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে’, ‘দেশের টাকা দেশে রাখুন- শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্প রক্ষা করুন’, ‘বিদেশি মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করুন- শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্প রক্ষা করুন’, ‘তামাক শিল্পের বাজেট কি শুধুই বিদেশীদের সুবিধার্থে?, ’শতভাগ দেশীয় তামাক শিল্প সরকার না কি বিদেশি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে?’— লেখা সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড নিয়ে তামাক চাষিরা মানববন্ধন করে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমাদের মাটি এবং আবহাওয়া তামাক চাষের উপযোগী। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি না করতে পারায় আজ আমরা ঠিকমত তামাক চাষ করতে পারছি না। দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারলে তামাকের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নতুন-নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে; যা দেশের বেকার সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।’
সমাবেশ থেকে দেশের প্রায় ৩০টি কোম্পানির সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তামাক চাষিদের রুটি-রুজি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। সমাবেশে বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারী ও তামাক চাষিরা অভিযোগ করেন, শুধু নীতি সহায়তা না থাকার কারণে শতভাগ দেশীয় সিগারেট কোম্পানির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। অথচ এ দেশের অনেক বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আদি ব্যবসা তামাক। বর্তমানে দেশের ৩০টি কোম্পানিতে কর্মরত এক লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তামাক চাষিসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ শ্রমিকদের রুটি-রুজি হুমকির মুখে।
দেশের টাকা দেশে রাখতে শতভাগ দেশীয় মালিকাধীন তামাক শিল্প রক্ষার দাবি জানান তারা। বলেন, ‘বিদেশি মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে শতভাগ দেশীয় মালিকাধীন তামাক শিল্প রক্ষা করতে হবে।’
দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষায় এখনই প্রতিযোগিতা আইনের সঠিক বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
তামাক চাষিরা বলেন, ‘সরকার শতভাগ দেশীয় কোম্পানির বিনিয়োগ সুরক্ষায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে দুটি মূল্যস্তর সৃষ্টি করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশীয় কোম্পানির জন্য নিম্ন স্তর সংরক্ষিত রেখে বহুজাতিক কোম্পানির আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে মধ্যম ও উচ্চমানে উন্নীত করে।’
তারা আরও বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানির দখলে এখন ৯০ শতাংশ সিগারেটের বাজার। সেখানে দেশীয় কোম্পানির জন্য গৃহীত পদক্ষেপ অজানা কারণেই বাস্তবায়ন না হওয়ায় শতভাগ দেশীয় তামাক শিল্পকে কৌশলে হত্যা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ায় নকল সিগারেটের দাম বাড়ছে, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তামাক শিল্পে অবিলম্বে ৪০ শতাংশ মনোপলি আইন কার্যকর করা, একচেটিয়া বিদেশি তামাকের বাজার হটিয়ে দেশি তামাক শিল্পে প্রতিযোগিতামূলক আইনের সঠিক বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে দেশীয় তামাক চাষিরা।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে