সৌদি প্রবাসীকে আনতে গিয়ে লাশ হলেন ভগ্নিপতি-ভাগিনা
৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:২৮
মুন্সীগঞ্জ: সৌদি প্রবাসী মোমিন মিয়াকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ওই ব্যক্তির ভগ্নিপতি ও ভাগিনা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুসহ অন্তত পাঁচজন।
রোববার (৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়ার ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে মাইক্রোবাসে কাভার্ডভ্যান ও যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন (১০)। গুরুতর আহতরা হলেন- নিহত হোসাইনের বাবা আক্তার মিয়া (৪০), মামা মোমেন মিয়া (৩৮), গিয়াস উদ্দিন (২৮) ও আফরিন (৮)। তারা সবাই ওই মাইক্রোবাসের যাহী ছিলেন।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন প্রবাসী মোমেন মিয়া। এ সময় চালকসহ মাইক্রোবাসটিতে মোট ছয় জন আরোহী ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছলে পিছন থেকে একটি কাভার্ভভ্যান মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি উল্টে গিয়ে পাশের ঢাকাগামী লেনে গিয়ে পড়ে।
এ সময় খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকাগামী শান্তি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন প্রবাসী মোমেন মিয়ার বড় বোনের স্বামী দুলাল মিয়া ও ছোট বোনের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন। এছাড়া আহত হন পাঁচ জন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কলেজ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এসআই মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে সুরতহাল করে মরদেহ দু’টি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার কৌশলে পালিয়ে গেছে।’
সারাবাংলা/পিটিএম