Thursday 15 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসএসসির ফলেও ফুটুক হাসি সবার মুখে


৬ মে ২০১৮ ০৮:৪১

।।  সারাবাংলা ডেস্ক ।। 

রোববার (৬ মে) বের হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। সে নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অপেক্ষা পরীক্ষার্থীদের মাঝে। উদ্বেগ অভিভাবক মহলেও। কি জানি কি হয়? তবে প্রত্যাশা এই যে, ফল পেয়েই কেটে যাক সব শঙ্কা, মুখে মুখে ফুটুক হাসি। আজ দিনটি বিশ্ব হাসি দিবস। এই দিনে শিক্ষার্থীরা তাদের ফল হাতে পেয়ে হাসুক প্রাণ খুলে সেটাই প্রত্যাো। বিগত বছরগুলোয় মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এবারও তাই হবে, তেমনটাই আশা করা যায়।

বিজ্ঞাপন

ইন্টারনেটে ফল পাওয়া যাবে বটে। তবে ফল নিতে নিজ নিজ স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হবে শিক্ষার্থীরা। বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবে ভালো ফল করার আনন্দ। ছাড়াও মিষ্টি মুখ, সেলফি তুলে ব্যস্ত দিন পার করবে তারা।

শহর থেকে গ্রামের স্কুলেও ছুঁয়ে যাবে এই খুশির বাতাস। হাসিমুখের নানা জয়ের গল্প দিয়ে ভি-চিহ্ন দেখানো ছবি উঠে আসবে সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

বিগত কয়েক বছরের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে পাশের হার। এবারও তার ধারাবাহিকতা অটুট থাকুক সেটাই প্রত্যাশা।

বিগত বছরগুলোয় পাসের হার বাড়ায় বেড়েছে শিক্ষার্থীদের আনন্দ আর হাসি। ১৯৯০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় যেখানে মাত্র ৩১.৭৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছিল, সেখানে ২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮০.৩৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এসএসসি পরীক্ষায় ২০১১ সালে ৮২.১৬, ২০১২ সালে ৮৬.৩২, ২০১৩ সালে ৮৯.২৮, ২০১৪ সালে ৯২.৬৭ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮৬.৭২, ২০১৬ সালে, ৮৮.৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এই তথ্য বা পরিসংখ্যানকে কেবল পাসের হার বৃদ্ধি নয়, হাসিমুখের সংখ্যা বৃদ্ধিরও ধারাবাহিকতা বলা যায়।

বিজ্ঞাপন

এবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল রোববার (৬ মে) রোববার সকাল ১০টায় প্রকাশিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল হস্তান্তর করবেন। পরে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হয়। এবছর প্রশ্নপত্র ফাঁসের নানা অভিযোগও ওঠে। তবে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ব্যাপকহারে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ না পাওয়ায় কোনও পরীক্ষা বাতিল করেনি।

এ বছর মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী সারাদেশের ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত কয়েক বছর থেকে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ার মোট ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরও সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে। এবার ফল প্রকাশিত হচ্ছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬৩ দিনের মাথায়।

সারাবাংলা/এমও/এমএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর