তামাক শিল্পে প্রধামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় চাষিরা
৬ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৫
ঢাকা: তামাক শিল্প রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তামাক চাষিরা। সোমবার (৬ মার্চ) স্থানীয় চাষিদের নিয়ে ঝিনাইদহের পায়রা চত্বরের সামনে ‘দেশীয় তামাক চাষি কল্যাণ সমিতি’র ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী, বর্তমান বাজারে বিদেশি কোম্পানির সিগারেটের ব্রান্ড মধ্যম ও উচ্চ স্তরে উন্নীত করে নিম্নস্তর শুধু মাত্র দেশীয় কোম্পানির সিগারেটের জন্য সংরক্ষিত রাখার দাবি জানানো হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এছাড়াও শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় স্বতন্ত্র নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, আপনি আমাদের মা, আমাদের চাষাবাদ করার সুযোগ দিন। আমরা কাজ করে দু-মুঠো ডাল-ভাত খেতে চাই, আমরা উৎপাদন করতে চাই। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনি শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর জন্য যে নীতিমালা দিয়েছেন তা দ্রুত বাস্তবায়ন করুন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি রেখে তারা বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আপনি এবং অর্থমন্ত্রী সংসদে বিল পাস করেছিলেন যে, শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা নীতিমালা তৈরি হবে, যাতে তারা উৎপাদনে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, ২০১৮ সালের বাজেটে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংসদে যে নীতিমালা অনুমোদন হয়েছিল সেটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশীয় কোম্পানির জন্য নিম্ন স্তর সংরক্ষিত রেখে বহুজাতিক কোম্পানির আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে মধ্যম ও ঊচ্চমানে উন্নীত করার সুপারিশ করেন অর্থমন্ত্রী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শতভাগ দেশীয় কোম্পানীগুলোর জন্য আলাদা নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ৩০টি দেশীয় সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি।
বক্তারা দ্রুত এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশীয় কোম্পানিগুলো টিকিয়ে রাখার দাবি জানান।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা এদেশের অবহেলিত গরিব তামাক চাষি। আমাদের মাটি এবং আবহাওয়া তামাক চাষের উপযোগী। ন্যায্য মূল্যে বিক্রি না করতে পারায় আজ আমরা ঠিকমত তামাক চাষ করতে পারছি না।
বক্তারা বলেন, দেশে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো আগে কেবল দামি সিগারেট প্রস্তুত করত। আর দেশীয় কোম্পানিতে তৈরি হতো কম দামের সিগারেট। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও কম দামের সিগারেট প্রস্তুত শুরু করেছে। এতে মার খাচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে এরইমধ্যে অনেক দেশীয় কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশের তামাক চাষিরা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ