সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: ১১ অগ্নিদগ্ধ বার্ন ইনস্টিটিউটে
৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:৪৩
ঢাকা: গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন।
সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এই হাসপাতালের অগ্নিদগ্ধ হয়ে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন- মো. হাসান (৩২), ইয়াছিন (২৬), মুসা (৪৫) খলিল (৩৬) আজম (৩৬) উলি শিকদার (৫৫) আল আমিন (২৫) বাচ্চু মিয়া (৫৫) ও মোস্তফা (৫০)।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, সিদ্দিকবাজারের ঘটনায় বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১১ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মুসার ৯৪ শতাংশ, আজমের ৮০ শতাংশ, ইয়াসিনের ৫০ শতাংশ, বাচ্চু মিয়ার ৪০ শতাংশ, উলি শিকদারের ২০ শতাংশ, আল আমিনের ১৫ শতাংশ, হাসানের ১২ শতাংশ ও খলিলের ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মোস্তফার কিছুটা দগ্ধসহ অন্য ইনজুরি আছে। এদের চারজনের অবস্থা গুরুতর। ইয়াসিন ও হাসানকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ। এর মাঝে নিহত ১৬ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে তাৎক্ষণিক সহায়তা দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)।
এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে ওই ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১২০ জনের বেশি। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ও সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ চালায়।
সারাবাংলা/এসবি/আইই