Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়নি চিকিৎসকদের বিকেলের চেম্বার

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২৩ ১০:৪১

ঢাকা: ১ মার্চ থেকে শুধুমাত্র সকালেই নয়, বিকেলেও কম খরচে সরকারি হাসপাতালে রোগীরা পাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা- এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের নির্ধারিত উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি বিশেষায়িত পাঁচটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানেও এই সেবা চালু করার কথা ছিল। তবে মন্ত্রী ঘোষণা দিলেও মার্চে এই বিশেষায়িত সেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। এমনকি কোনোভাবেই মার্চে এই সেবা চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার পরে সারাদেশে নানাভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও খোদ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে অগ্রগতি নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে একটি ২৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তবে এই বিশেষায়িত সেবার পাইলট প্রকল্প কোথা থেকে শুরু করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিটি। আর তাই বিষয়টি নিয়ে ৪ দফা বৈঠক হলেও বিশেষায়িত এই সেবা কিভাবে ও কোথায় দেওয়া হবে তারই নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সব মিলিয়ে মার্চ মাসে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালীন চেম্বার শুরু হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে বিকেলে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া ও রোগীদের সেবা দেওয়ার বিষয়ে সর্বশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আয়োজিত সেই বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও নীতিমালার খসড়াও প্রস্তুত করা হয়নি। সেই খসড়া প্রস্তুত করার পরে অনুমোদনের জন্য যাবে। এরপরে নির্ধারণ করা হবে পাইলট প্রকল্প শুরু করার নির্ধারিত স্থান। সেই হিসেবে জনবল প্রস্তুত করে নির্ধারণ করা হবে হাসপাতাল।

চিকিৎসকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সরকারি হাসপাতালে বৈকালীন চেম্বার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা নিয়ে তরুণ চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মাঝে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই আবার দোটানার মাঝে আছে প্রক্রিয়ার বিষয়ে না জানায়। একইভাবে অন্য পেশায় না থাকলেও শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আলাদাভাবে সেবা দিতে গিয়ে কর্মঘণ্টা বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়েও ভাবছেন অনেকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বেসরকারিতে একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকের সেবা নিতে রোগীকে দিতে হয় এক হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকাও। সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে এই টাকা না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এক্ষেত্রে আসলে বিশেষজ্ঞরা কেন সময় দিবেন সরকারি হাসপাতালে? তবে হ্যাঁ, যারা একদম নতুন চিকিৎসক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছেন তাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ হতে পারে এ ধরণের চেম্বার। কারণ তার অভিজ্ঞতা বাড়ার পাশাপাশি পরিচিতি বাড়ানোর মাধ্যমও হতে পারে এই বিশেষায়িত সেবা।’

কর্তৃপক্ষ যা বলছে?
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। সর্বশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অন্য দিনের বৈঠকের মতো সেদিনও কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে নতুন পদ্ধতির বিষয়ে কী করা হবে, কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেগুলোর ব্যাপারে প্রাথমিক কিছু কথা হয়েছে। মার্চে চালু হবে কি না- তা স্পষ্টভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ঘোষণার পরে সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বার চালুর বিষয়ে গত ২২ জানুয়ারি একটি কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২৬ সদস্যের এই কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমানকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কমিটির একাধিক সদস্য সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নামের একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি হয়েছে। সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়েছে তবে কোনো কিছু চূড়ান্ত হয় নি। মূলত সেই নীতিমালা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে চিকিৎসকদের কাছ থেকে ভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। একইসঙ্গে বিষয়টির আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। আর তাই খসড়া নীতিমালাও প্রস্তুত হয়নি বললে একদম ভুল হবে না।’

ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস বিষয়ক কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক শেখ দাউদ আদনান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সর্বশেষ বৈঠক হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেখান থেকে বিস্তারিত কোনো নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। এ বিষয়ে নীতিমালার খসড়া তৈরি হবে আর সেটা অনুমোদনের জন্য যাবে। এরপর আমাদের কাছে নির্দেশনা এলে আমরা কাজ শুরু করবো।’

মার্চে বিশেষায়িত সেবা শুরু করা বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমুল হক জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালীন চেম্বারের বিষয়ে খসড়া নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত না। আর তাই কিভাবে সেবা দেওয়া হবে বা সেবার মূল্য কত হবে- এ বিষয়গুলো সম্পর্কেও কোনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই কাজ করবো।

যা বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে অফিস সময়ের বাইরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কাজ চলছে। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব কিছু যাচাই করছে। কমিটির সদস্যরা সব দিক বিবেচনা করে দ্রুতই সবকিছু চূড়ান্ত করবে ‘

মার্চ মাসেই কী চালু হতে পারে এই সেবা- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুতই চালু করার আশা করছি। কাঠামোটা চূড়ান্ত হলেই সবকিছু বিস্তারিত জানাবো। এই সেবা চালু হলে আমাদের তরুণ চিকিৎসকদের প্র্যাকটিসের সুযোগ বাড়বে। এর ফলে রোগীরাও উপকৃত হবে। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবাও নিতে পারবেন তারা।’

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারের ভাবনা সরকারের ভালো উদ্যোগ। তবে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার অবকাঠামো পর্যাপ্ত নয়। রাজধানীর বাইরে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানের পদ খালি। এ দেশে প্রচুর মানুষ, প্রচুর রোগী। হাসপাতালগুলোতে বারান্দায় রোগী রাখতে হয়। অবকাঠামো ঠিক না করে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে পুরো চিকিৎসাসেবা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিএসএমএমইউ, বারডেম, হার্ট ফাউন্ডেশনে এ ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে সক্ষমতা আছে। অন্যান্য হাসপাতালে নিয়মিত রোগী ও তার স্বজনদের বসার জায়গা নেই। প্রস্রাব-পায়খানা করার ব্যবস্থা নেই। নতুন করে অবকাঠামো ও প্যাথলজি সুবিধা এবং লোকবল না বাড়িয়ে এ ধরনের উদ্যোগে লাভ হবে না।’

নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটা চিকিৎসকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। না করতে চাইলে করবেন না। সপ্তাহে একদিন চিকিৎসকরা সময় দেবেন। বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দেবেন। নিয়ম হলে কেন করবেন না। নীতিমালা করা হচ্ছে। রোগীরা বিশেষায়িত চিকিৎসা পাবে। বিএসএমএমইউকে পাইলট হিসেবে ধরার কথা বলা হয়েছে। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকরা যেভাবে রোগী দেখেন, সেভাবেই প্রস্তাব দেওয়া হবে। যে হাসপাতালে রোগী দেখবেন, সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।’

চিকিৎসকদের সরকারি হাসপাতালে চেম্বারে ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখার সুবিধা এবং অসুবিধা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশিষ্ট চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেসের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, ‘নীতিগতভাবে এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত। এতে সরকারি অবকাঠামোর যে সীমিত ব্যবহার, তার থেকে অনেক বেশি ব্যবহার করা যাবে। জনগণ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সুলভ মূল্যে একটা নৈতিক পরিবেশে সেবা পাবে, এটা একটা বড় সুবিধার বিষয় আছে। তবে এর সাথে আরও কিছু সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং পাইলটিংয়ের মাধ্যমে যথাযথভাবে না করে এক সঙ্গে বাস্তবায়ন করাটা সম্ভব হবে কিনা, সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে।’

 

বিকেলের চেম্বারে সেবার মান ভালো হলে চিকিৎসকের মিলবে পদোন্নতি

 

তিনি বলেন, ‘যখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সেবা দেবেন, তখন সেখানে ডায়াগনস্টিক ফ্যাসিলিটিসহ অন্যান্য চিকিৎসা অবকাঠামো যদি না থাকে তাহলে রোগীর আবার পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বাইরে যেতে হলে অনৈতিকতার ঘাঁটি হয়ে যায় কিনা? আবার সেখানে যেহেতু ডুয়েল প্রাকটিস থাকবে, এমন না যে যারা ‘ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ করবে তাদের বাইরে প্রাকটিস বাদ দিয়ে সারাক্ষণ ইন্সটিটিউশনে থাকার বাধ্যকতা থাকবে, তেমনটাও না। হয়তো তারা রোটেশনাল ডিউটি করবে, যেমনটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস করবে, আবার কিছুক্ষণ বাইরে প্রাকটিস করবে। সেক্ষেত্রে এটেন্ডেন্ট থেকে শুরু করে অ্যাসিস্ট্যান্টদের যে চেইন রয়েছে, তাদের মাধ্যমে রোগীদের ডায়ভার্ট করার জটিল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় কিনা, যদি যথাযথ রেগুলেশন এবং নিয়ন্ত্রণ না থাকে। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সুবিধা না থাকলে বাধ্য হয়ে রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা বাইরে থেকে করে আনতে হবে। তাই সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বিষয়টা কতটুকু সফল হবে, সেই প্রশ্ন থেকে যায়।’

ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রথমে পাইলটিং হওয়া উচিৎ যেখানে মেডিক্যাল শিক্ষা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেন চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দিতে পারেন। আমাদের সময় শিক্ষক সন্ধ্যাকালীন একটা রাউন্ড দিতেন। দিনে পাবলিক রিলেশন, পরীক্ষা, মিটিং নিয়ে ব্যস্ততা থাকলেও সন্ধ্যাকালীন রাউন্ডে আমরা বেশি শিখতে পারতাম। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস থাকে, তাহলে সেটা যদি এভাবে করা যায় যে, প্রথমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে পাইলট আকারে হবে, তারপর জেলা উপজেলা পর্যায়ে সামর্থ্য বৃদ্ধি করে বিস্তৃত করা হবে। আর ডুয়েল প্রাকটিস চালু রেখে, ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস কতটা সফল হবে, সেটাও সন্দিহান। যদি ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস করতে হয়, তাহলে যথাযথ প্রণোদনা এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে যারা ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিসে রাজি হবে, তাদের ফুল টাইম ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিসে রাখতে হবে। ডুয়েল প্রাকটিসে নৈতিকতার প্রশ্ন চলে আসে এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করাও খুব কঠিন হবে।’

সর্বশেষ, ২৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত ডিউটি শেষ করে নিজ হাসপাতালেই চিকিৎসকরা আলাদা চেম্বার করে রোগী দেখা ও চিকিৎসকদের ফি নির্ধারণ করা বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘মার্চ থেকে চেম্বার, সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা’, ‘৩০০ টাকায় পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’ এরকম নানা শিরোনামে যে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে তাতে জনমনে নানারকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারি হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসকদের নিজ নিজ হাসপাতালেই অফিস সময়ের বাইরে আলাদা চেম্বার করার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে একটি কমিটি কাজ করছে এবং কমিটির কাজ এখনও চলমান।’

বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি হাসপাতালে আলাদা চেম্বার করা বা ফি নির্ধারণ করা কিংবা কোন কোন হাসপাতালে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে এসব তথ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত প্রচার না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।

সারাবাংলা/এসবি/এমও

বৈকালীন চেম্বার সরকারি হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর