Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কৃষিজমি রক্ষা ও খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৪

ঢাকা: ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ আশপাশের এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি রক্ষা এবং বেদখল হওয়া সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধ থেকে এ দাবি জানানো হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাধারণ জনগণ এ মানববন্ধন আয়োজন করে।

মানববন্ধনে অংশ নেন কৃষিজমি হারানো কৃষক, বসত-ভিটা হারানো নিরীহ মানুষ, স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক লোকজন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাসন কোম্পানি ‘মধুসিটি হাউজিং’তাদের ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ দিয়ে এলাকার কৃষিজমি দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। এলাকার বেশিরভাগ সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও তারা দখল করে নিয়েছে এবং প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার এবং কৃষিজমি রক্ষায় থানায় বহু মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েও প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা কাঠালতলী, চণ্ডিপুর ও বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলকারী ‘মধুসিটি হাউজিং’য়ের মালিক ছলিম উল্যাহ ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে এ এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দিন ফারুক বলেন, ‘ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কাঠালতলী, চণ্ডিপুর ও বেলনাসহ প্রায় পুরো এলাকা কৃষিজমিহীন হওয়ার উপক্রম। সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। এতে শুধু এলাকার কৃষিজমিই হ্রাস পাচ্ছে না, এলাকার পরিবেশও মারাত্বক হুমকির মুখে পড়ছে।’

কৃষক মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, ‘মধুসিটি জোর করে মানুষের বসতভিটা ও কৃষিজমি দখল করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’

অ্যাভোকেট মাসুদ বলেন, ‘নিজের কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষায় স্থানীয়দের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দখলদারদে ভয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।’

কৃষক সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘নামমাত্র মূল্যে জোর করে মানুষের কৃষিজমি দখল করে নিচ্ছে মধুসিটি। প্রতিবাদ করলে ‘মোটরসাইকেল বাহিনী’ দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। এতে সেখানকার কৃষকরা ভীতসন্ত্রস্ত।’

জমি হারানো সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাতের আঁধারে বালু ফেলে স্থানীয়দের কৃষিষজমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে।’

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষিবান্ধব। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বারবারই কৃষিজমি রক্ষার এবং ফসল ফলানের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এদিকে ‘মধুসিটি হাউজিং’ মানুষের কৃষিজমি, সরকারি জলাশয়, খাল-বিল দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। এর অবসান হওয়া দরকার।’

সারাবাংলা/এজেড/একে

কৃষিজমি মধুসিটি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর