Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ মার্চ ২০২৩ ২২:৩১

ঢাকা: দুর্ঘটনা ঘটলেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম কাদের) কাদের।

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার পর মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিরোধী পক্ষ আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, যদি নাশকতা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার নাশকতা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নাশকতা ঠেকাতে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মহিলা পার্টি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে না পারলে রাষ্ট্র শোক প্রকাশ করতে পারে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানানো যেত। এখন ব্যর্থতা ঘোচাতে অপরকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

এ সময় নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করার দাবি জানান জাপা চেয়ারম্যান।

ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যাদের ব্যর্থতা, অবহেলা, দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতির কারণে এমন ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হয়, যাতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট কেউ জানে না। তদন্ত কমিটি কী সুপারিশ করল, কেউ জানে না। কে দায়ী বা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা কেউ জানতে পারে না।

তিনি বলেন, এখন সব কিছুতেই গলদ। ভবন তৈরি হয় বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না, গ্যাসের লাইন বৈধ না অবৈধ তার ঠিক নেই। এগুলো দেখাশোনার দায়িত্বে যারা, তাদের খোঁজ নেই। এত বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে কিন্তু কারন উদঘটনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর হতে পারে না।

জি এম কাদের বলেন, দেশের ক্ষমতা এখন একটি গোষ্ঠী বা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষের হাত থেকে ক্রমে ক্রমে ক্ষমতা দূরে সরে যাচ্ছে। তাই দেশের মানুষ অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে। ক্ষমতার বৈষম্য কমছে না; বরং দিন দিন বাড়ছে। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হলে আগে ক্ষমতার বৈষম্য দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষের বৈষম্য স্বাভাবিকভাবেই দূর হয়ে যাচ্ছে। তবে সবার আগে দেশের মানুষের মধ্যে ক্ষমতার বৈষম্য দূর করতে হবে। ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু (এমপি) বলেন, নারীদের ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের আরো এগিয়ে আসতে হবে।

দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি) বলেন, নারীকে বাদ দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম অসম্ভব। আগামী নির্বাচনে জাতীয় মহিলা পার্টিকে আরো ভূমিকা রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (এমপি) বলেন, ইসলাম নারীর পূর্ণ মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। দেশের স্বার্থে নারীরা আগামীতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর