আরবান টেরেস: এক ছাদের নিচে ৫ দেশের ৫ রেস্তোরাঁ
৯ মার্চ ২০২৩ ২২:২৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যময় খাবারের ডালি সাজিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আত্মপ্রকাশ করেছে অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘আরবান টেরেস’। কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে বসবাসরত বিপুল বিদেশি নাগরিক এবং পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের ভোজনপ্রিয় মানুষের জন্য এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে রহিমস প্লাজার সপ্তম তলায় রেস্তোরাঁর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হোটেল আগ্রাবাদের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইরাদ আলী এবং আরবান টেরেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশমিতা ইরাদ আলী।
উদ্বোধনের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, জাপান, ভারত, ইতালির বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার থাকছে রেস্তোরাঁয়। দেশের রেস্তোঁরায় বিদেশি ফ্লেভার— এটিই তাদের লক্ষ্য। তবে এর পাশাপাশি দেশীয় খাবারও থাকছে।
বড় আয়তনের রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন দেশের খাবার পানীয়ের আলাদা আলাদা কর্নার করা হয়েছে। জেলাটিসিমো কর্নারে পাওয়া যাচ্ছে ফলের নির্যাস থেকে কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার ছাড়া আইসক্রিম। চা টাইমে রয়েছে তাইওয়ানের সুস্বাদু বাবল ড্রিংকস, জুসসহ আরও নানা পানীয়। আজুকি কর্নারে জাপান-কোরিয়ান স্বাদের খাবার। ইন্ডিয়ান ফুড আইটেমের জন্য ক্যালকাটা কিচেন। ইতালিয়ান খাবারের জন্য টাইনিটালিয়ান।
ক্রেতারা পছন্দের খাবার অর্ডার দেওয়ার পর তিনজন অভিজ্ঞ বাবুর্চি তাৎক্ষণিক খাবার তৈরি করে পরিবেশন করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ইরাদ আলী বলেন, ‘বিদেশিরা তাদের দেশের খাবারের স্বাদ পেতে চান। সেই চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্টটি করা হয়েছে। খুলশীতে অনেক বিদেশিরা থাকেন। আশা করি ভালো সাড়া পাব।’
আশমিতা ইরাদ আলী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক খাবারে চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকবে কেন— এ চিন্তা থেকে আরবান টেরেস। এক টেরেসে, এক ছাদের নিচে আসলে ৫টি দেশের আলাদা রেস্টুরেন্ট। একেকটি রেস্টুরেন্টে শতাধিক পদ আছে। ইতালি ও কলকাতা কিচেনে ৩০-৪০ পদ আছে। এটি ফ্যামিলি রেস্টুরেন্ট। সুন্দর বারান্দা আছে, কিডস জোন আছে। শিশু থেকে মুরুব্বি সবার জন্য এটি। জাপানি আইটেম তরুণরা পছন্দ করে। প্রবীণদের জন্য ইন্ডিয়ান খাবার রেখেছি। কাবাব, কারি, বিরিয়ানি আছে।’
সারাবাংলা/আরডি/একে