‘সরকারকে পদত্যাগে অগণতান্ত্রিক দাবির হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই’
৯ মার্চ ২০২৩ ২৩:৫৭
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সুতরাং সরকারকে পদত্যাগে অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক দাবির হুঙ্কার দিয়ে কোনো লাভ নেই। দেশে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের সংগঠন। মানুষের অধিকার আদায়ে চরম প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অপরিসীম ত্যাগ-তিতীক্ষা অত্যাচার-নির্যাতন স্বীকার করে ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে এগিয়ে চলা সংগঠনের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শত-সহস্র বৈরী পরিবেশেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সংগঠনের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো পলায়নপর রাজনীতি করেনি, করবেও না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপির তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ২১ আগস্টের খুনি, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান প্রায় দেড় দশক বিদেশে পলাতক রয়েছেন। যারা দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নেতৃত্বে রাজনীতি করে তাদের মুখে অন্যদের নিয়ে পলায়নপর রাজনীতির আষাঢ়ে গল্প তামাশা ছাড়া কিছু নয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করেও তারা পরাজিত পাকিস্তানের প্রতি এক ধরনের সংবেদনশীলতা অনুভব করে। পাকিস্তানের প্রতি তাদের ভাবাদর্শগত মোহ এখনও কাটেনি। আমরা স্পষ্টতই বলতে চাই, যাদের এখনও পাকিস্তানের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সবসময় জন-আকাঙ্ক্ষা ও জনমতকে ধারণ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে। জনকল্যাণকে সামনে রেখেই প্রণীত হয় বর্তমান সরকারের সব কর্মসূচি, পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা। ফলে বিএনপি-জামাতের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ও চরম অনিশ্চয়তার বাংলাদেশ বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত হয়েছে। গত ১৪ বছরে অভাবনীয় অগগ্রতি সাধিত হয়েছে।’
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম