‘আদানির সঙ্গে চুক্তিতে দেড় লাখ কোটি টাকা লোকসান হবে’
১০ মার্চ ২০২৩ ১৪:২২
সিলেট: আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সেক্টরে লুট হচ্ছে। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে দেড় লাখ কোটি টাকা লোকসান হবে। এই চুক্তির ফলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হবে। বেশি দামে কয়লা কিনতে হবে।’
শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুরে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে মহানগর বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে সম্প্রতি তিনটি বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েকজন নিহতের ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই প্রাণের কী কোনো মূল্য নেই? কাদের জন্য এরা মারা যাচ্ছে? তাদের বিচার করতে হবে। সরকারের ব্যর্থতা, তাদের ডিপার্টমেন্টগুলোর ব্যর্থতা, যারা দায়িত্বে আছেন তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।’
দেশের অর্থনীতি, বিচার, নির্বাচন, শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে জানিয়ে বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘সংবিধানকে আগেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে আওয়ামী লীগ এটা করেছে। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন সারা বাংলাদেশে ভয়াবহ রকমের নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। আজ কোথাও কোনো আইনের শাসন নেই। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত আগস্ট থেকে ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। দলের সব নেতাকর্মীই এখন মামলার আসামি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, বেআিইনিভাবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এর পূর্বে তাকে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছিল চার বছর।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিতে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) কথা দিয়েছিল, তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেবে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল খেতে পারেন এখন? না, ৭০ টাকা কেজি মোটা চাল এখন। এখন পত্রিকায় দেখলাম, মিহি চাল যেটা সেটা ১৭০ টাকা! ডালের দাম বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে। ডিম সাধারণ মানুষের প্রোটিনের উৎস, সেটার দাম তিন-চারগুণ বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে এক লাফে ৬০ টাকা। মানুষ কোথায় যাবে? এরকম একটা অবস্থা এই সরকার তৈরি করেছে। আর তাদের কথার বাগাড়ম্বর যে এখন নাকি দেশ সবচেয়ে ভালো আছে। তারাই নাকি আসলে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়। আরে উন্নয়ন ধুয়ে খাবে মানুষ, যদি ভাত খেতে না পারে? আর কোথায় উন্নয়ন? উন্নয়ন হলে তো কর্মসংস্থান থাকতো। বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, চাকরি পায়? সরকারি হিসেব মতে প্রায় তিন কোটি বেকার।’
এর আগে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সিলেট মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ূম জালালী পংকির সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল হাসান লোদী কয়েসের পরিচালনায় সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিকেলে কাউন্সিল ও গোপন ভোটের মাধ্যমে সিলেট জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন ১ হাজার ৯১৭ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট।
সারাবাংলা/এমও