গাছকাটার পাঁয়তারা বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
১০ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৮
ঢাকা: চা-বাগান সম্প্রসারণের নামে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই খাসিয়াপুঞ্জের দুই হাজার গাছ কাটার পাঁয়তারার বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জুদুঘরের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, খাসিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও কাপেং ফাউন্ডেশন নামের তিনটি সংগঠন অংশ নেয়।
বক্তারা বলেন, খাসিয়া পুঞ্জিতে ৭২টি খাসিয়া পরিবার থাকে। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা সেখানে বসবাস করছি। চা-বাগান কর্তৃপক্ষ চা-চাষ সম্প্রসারণের নামে দুই হাজার গাছ কাটার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এতে করে পরিবেশের চরম ক্ষতি হবে। খাসিয়ারা জীবন-জীবিকা হারাবেন। মূলত খাসিয়াদের উচ্ছেদের উদ্দেশে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। সে তুলনায় আমাদের দেশে বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। খাসিয়াদের ভালোবাসায় বনের গাছগাছালি রক্ষা পাচ্ছে। সেখানে চা-বাগান সম্প্রসারণের নামে খাসিয়াপুঞ্জির প্রাকৃতিক গাছ কেটে ফেলার পাঁয়তারা মেনে নেওয়া যায় না। এ অপচেষ্টা রুখতেই হবে।
এসময় তারা ঝিমাই পুঞ্জির যাতায়াতের রাস্তায় চা বাগান কর্তৃপক্ষের সব বাঁধা অপসারণ করা; সমতল আদিবাসীদর ভূমি সমস্যা সমাধানের লক্ষে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা; খাসি আদিবাসীদের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও ভূমি অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আদিবাসী অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সকল সনদসহ আইএলও কনভেনশন ১০৭ বাস্তবায়ন করার দাবিও জানান।
খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লেংচার তংপেয়ার বলেন, খাসি জাতির অস্তিত্ব টিকে থাকার জন্যে গাছ প্রয়োজন। আমরা গাছের ওপর পান পাতা চাষ করে জীবীকা নির্বাহ করি। কিন্তু চা বাগানের মালিকরা এই গাছগুলো কাটার পাঁয়তারা করছেন। আমরা এর নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, বিশ্বে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্যে যেখানে সবাই কাজ করছে, সেখানে বাংলাদেশ কেন উল্টো পথে হাটবে। দুই হাজার গাছ কাটা হলে ছোট ও মাঝারি আরো অনেক গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চা-বাগান সম্প্রসারণের নামে খাসিয়াপুঞ্জির প্রাকৃতিক গাছ কেটে ফেলার পাঁয়তারা রুখতে হবে।
সারাবাংলা/আরআইআর/এনইউ