ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সরব নওফেল-নাছির
১০ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নোবেল পুরস্কার পাওয়া গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দুই নেতা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন। নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সভায় বলেন, ‘আমাদের একজন নোবেলজয়ী আছেন, উনার জন্য বিদেশি কিছু মানুষের বক্তব্য আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই ব্যক্তিকে নিয়ে বলার কিছু নেই, আমরা সবাই উনার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের আলামত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাঙালি জাতিকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, সেখান থেকে টেনে নামাতে এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে, রাজপথে সক্রিয় থাকতে হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক লবিস্টদের প্রধান ক্রীড়নক নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। এভাবে রাজনীতিতে হঠাৎ ইউনুসকে নিয়ে উত্তাপ ছাড়ানোর কারণে আরেকটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। ড. ইউনুসকে আমাদের চেনার বাকি নেই। বাংলাদেশে যাতে পদ্মা সেতু হতে না পারে, এজন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের নেপথ্যে তিনি ছিলেন। সেনাসমর্থিত এক এগারো সরকারকে বৈধতা দিতে তিনি বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।’
‘ইউনূসের হাত অনেক লম্বা, তার কেলেঙ্কারির ইতিহাসও দীর্ঘ। হঠাৎ ৪০ জন বিদেশি ওনাকে কথিত মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন। এটা বাংলাদেশ বিরোধী আরেকটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।’
সভায় চলমান শান্তি সমাবেশ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, বদিউল আলম, আবদুচ সালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, জালাল উদ্দীন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে