‘শ্রীলঙ্কা হতে চাই না বলেই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয়’
১২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪০
ঢাকা: বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতে চায় না বলেই গ্যাস বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। দেশের শিল্পকারখানায় এরইমধ্যে গ্যাসের সরবরাহ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট কেটে যাবে। কারখানাগুলোতে আগের চেয়ে আরও বেশি গ্যাসের চাপ পাওয়া যাবে।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এফবিসিসিআই আয়োজিত চলমান বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের দ্বিতীয় দিনে গার্মেন্টস খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় ও করণীয় শীর্ষক এক সেশনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিটিএমএ’র পরিচালক আজিজুর আর চৌধুরী, বিজিএমইএর পরিচালিক আসিফ আশরাফ, ওয়ালমার্টের সিনিয়র ডিরেক্টর শ্রী দেবী কালাভাকোনালো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকারখানায় কয়েকদিনের মধ্যেই গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। সরকার এলএনজি আমদানি করছে। বিদ্যুৎ আমদানি করছে। শিল্পকারখানায় গ্যাস বিদ্যুতের সংকট দ্রুতই কেটে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ গ্যাসে ভর্তুকি দিচ্ছি। দেশে গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলেও সরবরাহ ঠিক রাখা হয়েছে। ভর্তুকি কমাতে হয়েছে কারণ আমরা শ্রীলঙ্কা হতে চাই না।’
পাটমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন বিনিয়োগের সর্বাত্মক পরিবেশ রয়েছে। সরকার যোযোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। নতুন নতুন সড়ক ও ব্রিজ হচ্ছে। আমরা পদ্মাসেতু করেছি নিজের টাকায়। ফলে যোযোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সরকার বিনিয়োগ সহজীকরণ করেছে। দেশে বিনিয়োগ করতে সরকার সব ধরণের সহযোগিতা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসাবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস খাতকে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছেন। করোনায় যেখানে সারাবিশ্ব থমকে গিয়েছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রী এ খাতকে সচল রাখতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছিল। এভাবেই আমদের রফিতানি বাড়ছে। গত বছর আমরা ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। আগামীতে আমরা গার্মেন্টস থেকেই ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করব।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ